দেশের খবর
আটায় আগুন, রফতানি বাণিজ্য নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পেট্রল-ডিজেল থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জিনিসপত্র। হু-হু করে বাড়ছে সবকিছুর দাম। বাজারে গেলে দামের ছেঁকায় পকেট ফাঁকা হওয়ার যোগার। এই অবস্থায় গম রফতানি নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার এক নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। জানিয়েছে, ভারত সহ গোটা বিশ্বেই ক্রমশ চাহিদা বাড়ছে গম-আটার। আটা থেকে শুধু রুটিই নয়, কেক-বিস্কুট-পাউরুটি সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য তৈরিতে আটা হল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
দেশের বিভিন্ন বাজারে ক্রমশ বাড়ছে আটার দাম। তাই আটার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপাতত রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করল ভারত। তবে সরকার জানিয়েছে, পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়নি গম রফতানি। যে সমস্ত দেশের সত্যিই গমের প্রয়োজন রয়েছে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই সমস্ত দেশে গম রফতানি করবে ভারত।
আরও পড়ুন: হিন্দিভাষীরা পানিপুরিওয়ালা, ব্যঙ্গ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীর
আন্তর্জাতিক বাজারে গম রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাশিয়া ও ইউক্রেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে তাতে শুধু প্রাণহানিই নয়, মার খাচ্ছে বৈশ্বিক বাণিজ্য। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ইউক্রেন থেকে গম রফতানি।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর গত ১৪ বছরে এই প্রথমবার এক ধাক্কায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে গমের দাম। বিশ্বব্যাপী গম রফতানি ঠেকেছে তলানিতে। এই অবস্থায় ভারতের বাজারেও আটার দাম হঠাৎ করে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
ভারতে গমের দাম বাড়ার একাধিক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি অন্যতম কারণ। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে গমের মূল্যবৃদ্ধির দাপটও একটা ফ্যাক্টর। গমের পাশাপাশি অগ্নিমূল্য ভুট্টাও।
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় অভব্য আচরণ উপমুখ্যমন্ত্রী ছেলের, তীব্র নিন্দা তৃণমূলের
২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ গম রফতানি করার লক্ষ্য ছিল নয়াদিল্লির। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সব মিলিয়ে ৬৫ লক্ষ টন গম রফতানি করেছিল ভারত। কিন্তু এবার ইতিমধ্যেই সেই সীমানা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে!
আরও পড়ুন: ‘এক পরিবার এক টিকিট’, চিন্তন বৈঠকে বড় ঘোষণা কংগ্রেসের
তাই মনে করা হচ্ছিল নতুন নজির গড়বে ভারত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। স্থানীয় বাজারে লাগাতার গমের দাম বেড়ে চলায় বাধ্য়তই রফতানি নিষিদ্ধ করতে হল ভারতকে। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্তে বাকি বিশ্বের দেশগুলিকে আরও সমস্যার মুখে পড়তে হবে তাতে সন্দেহ নেই।