বাংলার খবর
বকেয়া রয়েছে ৩ লাখ টাকা, এখনও হাতে মেলেনি পিয়ালীর পর্বত জয়ের শংসাপত্র
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: পিয়ালীকে তিন লাখ টাকা দিলেও চন্দননগর বিধানসভা উৎসব কমিটি, এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র পেতে প্রয়োজন আরও তিন লাখ টাকা।
এখনও ছয় লাখ টাকা বাকি। যে কারনে এভারেস্ট জয়ের শংসাপত্র হাতে পাননি চন্দননগরের পর্বতারোহী পিয়ালী বসাক। আগের পর্বতারোহনের পঁয়ত্রিশ লাখ টাকাও দেনা রয়েছে। আবারও পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে চান পিয়ালী। আট হাজারি যত শৃঙ্গ আছে সব জয় করতে চান। মানাসুলু,ধৌলাগিড়ির পর একসঙ্গে এভারেস্ট ও লোৎসে জয় করে রেকর্ড করেছেন চন্দননগর কানাইলাল প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা পিয়ালী।
শুক্রবার চন্দননগর রবীন্দ্র ভবনে জ্যাতিরিন্দ্র সভাকক্ষে এভারেস্ট জয়ীকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয় চন্দননগর বিধানসভা উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে। চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী ভদ্রেশ্বর এর চেয়ারম্যান প্রলয় চক্রবর্তীদের উপস্থিতিতে হয় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ববিতা সরকারকে ১০ দিনের মধ্যে দিতে হবে বেতন সহ নিয়োগপত্র, নির্দেশ হাইকোর্টের
উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয় পিয়ালীর হাতে।পিয়ালীকে চেক প্রদানের পর মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন,ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক কিছুই দেখেছি অনেকে মিছিল করেছে। তারা কতোটা কি করেছে আমি জানিনা তবে আমি বলব,রাজ্য সরকারের একটা প্যারামিটার থাকে।
পিয়ালী যদি এভারেস্ট অভিযানের আগে সরকারি সেই প্যারামিটার মেনে চলত তাহলে রাজ্য সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত।রাজ্য সরকার সব সময়ই এই ধরনের খেলোয়াড় শিল্পী তাদের পাশে ছিল আগামী দিনেও থাকবে।ভগবান না করুক কোন দুর্ঘটনা সেটার দায় রাজ্য সরকারের ওপর চলে আসে।তাই আমি অনুরোধ করব পিয়ালী কে যে রাজ্য সরকারের সঠিক যে প্যারামিটার রয়েছে ক্রীড়া এবং যুব কল্যাণ দপ্তর এর সেটা মানতে।পিয়ালী কে যুব কল্যাণ দফতর থেকে ফোনও করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সামান্য বৃষ্টি হলেই উধাও কারেন্ট! এক সপ্তাহ ধরে বিদ্যুৎহীন গ্রাম
পিয়ালী জানান,অক্সিজেন ছাড়া যেহেতু আমি অনেক উপরে উঠতে পারি তাই আগামী দিনে যে সমস্ত পর্বত শৃঙ্গ গুলো নিয়ে সেখানে ওঠার চেষ্টা করব।রাজ্য সরকারের দপ্তরে যোগাযোগ করেছিলাম কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা এবং অভিযানের সময় হয়ে যাওয়ায় আমাকে নেপালে চলে যেতে হয়।এখনো ছয় লাখ টাকা বাকি রয়েছে এভারেস্ট অভিযানের।সেই টাকা না মেটালে শংসাপত্র পাওয়া যাবে না।সবাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।