দেশের খবর
বাঙালি ছেলের হাত ধরে থামতে চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: বিশ্ব উষ্ণায়ন, এ বিশ্ব উষ্ণায়ন তো পুরো পৃথিবীর জুড়ে এক হাহাকার পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যানবাহনের দোয়া কলকারখানার ধোঁয়া গ্রিন হাউস গ্যাসের উপস্থিতিতে তার জেরে প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা সবকিছু মিলে পৃথিবী বায়ুমণ্ডল যেন ওষ্ঠাগত।
ঠিক এই হলো অবস্থায় একদল বিজ্ঞানী এমন একটি রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন যা কিনা, বায়ুমণ্ডলের বিপদজনক গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনকে বদলে ফেলতে পারে কম ক্ষতিকর কিংবা প্রয়োজনীয় অন্য কোন রাসায়নিকে। আর এই গবেষণা পত্রটি প্রকাশ হয়েছে “সাইন্স” জার্নালে। এই গবেষণার পিছনে মূল ভূমিকা রয়েছে সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানী দের। যাদের মধ্যে অন্যতম রয়েছেন বাঙালি একবিজ্ঞানী যার নাম অম্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। অম্বর বন্দ্যোপাধ্যায় উপশলায় বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞানীদের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন আরো অনেক বিজ্ঞানীরা। যেমন, সুইডেনের স্টক হোম ইউনিভার্সিটি, সুইজারল্যান্ডের পল সেরার ইনস্টিটিউট ও জার্মানির হাম বর্গ ইউনিভার্সিটি ও আরো বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন-প্রতীক্ষার অবসান! অবশেষে বিদ্যুৎ চালিত ট্রেনের চাকা গড়াল রায়গঞ্জের মাটিতে
বিজ্ঞানীদের মতামত এই যে, এক্সরে আলো ফেলে তার সাহায্যে মিথেনকে কম ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থের রূপান্তরিত করার ক্ষমতা সম্পন্ন কার্যকর রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন তারা। তবে এই রাস্তা সোজা নয়,এক একটি সিঁড়ি পার করতে অনেক খেসারত দিতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। ১৯৯৫ সালের জার্মানির বিজ্ঞানী উইলিয়াম কনরাড রন্ট গেন সর্বপ্রথম এক্সরে আবিষ্কার করেছিলেন। আর সেই প্রথম এক্সরে দিয়ে তার স্ত্রীর হাতের ছবি তুলেছিলেন তিনি। এক্সরে মূল বিষয়টি হলো যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না তাকে দৃশ্যমান করে তোলে এই রশ্মি।
অকটেনের মতো আরও একটি যৌগ মিথেন এর কার্বন হাইড্রোজেন বন্ড ভাঙতে পারে রোডিয়াম। প্রায় ৪০ বছর আগে এই কথা জানা গিয়েছিল কিন্তু তখন এই রসায়ন নিয়ে অনেক রকমের রহস্য ছিল। শুধু এইটুকু জানা ছিল যে, এলো ফেরা মাত্র রোডিয়াম সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মিথেনের কার্বন হাইড্রোজেন বন্ড ভেঙে দেয়। আর চল্লিশ বছর পর আড়ালে থাকা আণবিক স্তরের রসায়ন পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। যার ভিত্তিতে ভবিষ্যতে ক্ষতিকর মিথেন গ্যাসকে কাবু করতে পারবেন বলে রেখেছেন বিজ্ঞানীরা।