বিদেশের খবর
আপনি কি জানেন কোন দেশের মানুষ শুধুমাত্র মাটির রুটি খেয়ে জীবন যাপন করে
এই দেশের প্রধান খাবার হিসেবে খাওয়া হয় কাদার তৈরি রুটি
বেঙ্গল এক্সপ্রেসঃ আপনি কি জানেন পৃথিবীতে এমন একটা দেশ আছে যারা বর্তমানে কাদা দিয়ে রুটি খেয়ে জীবন ধারণ করে। এবং সেই দেশটি হচ্ছে ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে হাইতি দ্বীপরাষ্ট্র। যেখানে জনসংখ্যা 1 কোটি 20 লাখের কাছাকাছি ছোট এই দেশের অনেক এলাকাতে প্রধান খাবার হিসেবে খাওয়া হয় কাদার তৈরি রুটি।
কিন্তু কেন এটা কি শুধুমাত্র আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে নাকি এখানে রয়েছে কোন বড় কুসংস্কার। বিশ্বজুড়ে কৃষি পরিবহন এবং জলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে যার ফলে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে , আর যেহেতু এই দেশটি আমদানিনির্ভর দেশ এবং জিডিপি খুবই কম মাত্র 20 বিলিয়ন ডলার তাই এই দেশে এক ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছে মানুষজন। এখানে যেসব প্রধান খাবার ধান,গম, ভুট্টা এগুলোর দাম প্রচন্ড পরিমানে বেড়েছে। ইনফ্যাক্ট বর্তমানে যে বাজারমূল্য তার থেকে 40 পার্সেন্ট বেশি সেখানে এসব সাধারণ খাবারের দাম। আর এই কারণে জনগণের বেঁচে থাকার তাগিদে সেখানে কাদার তৈরি রুটি খেয়ে জীবন ধারণ করছে। অবশ্য এই রুটি খাওয়া নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে কিছু ভান্ত ধারণা রয়েছে স্থানীয়দের। তাদের বিশ্বাস কাদার তৈরি রুটি অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং শিশুদের শরীরে অ্যান্টাসিড এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে। অন্তত মহিলা এই রুটি খেলে সন্তান হবে বলেও প্রচলিত রয়েছে। সেই দেশে যদিও চিকিৎসাধীন রয়েছে এই সম্পর্কে ভিন্নমত।
তাদের মতে আদিবাসীদের এটা একটা ভ্রান্ত ধারণা রুটি খেলে উপকার থেকে অপকারই বেশি হয় বলে চিকিৎসকদের মতামত। চিকিৎসকদের মতে দিনের পর দিন কাদার রুটি খেলে দাঁতের ক্ষয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যাথা সহ একাধিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে আপনি কি জানেন এই রুটি কিভাবে তৈরি করে, তারা বাজার থেকে বিশেষ ধরনের শুকনো মাটি কিনে আনা হয়, যে মাটি গুঁড়ো করে সেখান থেকে বাদ দেওয়া হয় নুড়িপাথর। এরপর সেই মাটিকে আরো মিহি করে ঘুরিয়ে তার জলে ভিজিয়ে কাদার মণ্ড তৈরি করা হয় এরপর কাদার মণ্ড লবন এবং মসলা মিশিয়ে রুটির মতো গোল করে বেলে নেওয়া হয়। এবং তা রোদে প্রায় দুই থেকে তিন দিন শুকিয়ে নেওয়ার পর তা খাওয়ার জন্য নিয়ে আসা হয় এবং মাঝে মধ্যে এটা খুব অল্প মূল্যে অনেকে বাজারে বিক্রি করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃটাইটানিকের চেয়েও কয়েক গুণ বড় এই নতুন জাহাজ
তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে, এই যে বিশেষ মাটিতে তারা রুতি তৈরি করছে সেই বিশেষ মাটি নিয়েও এখন একটা বড় সিন্ডিকেট হয়ে যায় এবং এখানেও মাটির দাম বেশ চড়া মূল্যে সামটাইমস অনেকে বিক্রি করে থাকেন। এখন একটা বিষয় বলে রাখি হায়তি কিন্তু এত গরিব দেশ ছিল না, এটা কিন্তু একসময় ধনী দেশ ছিল, কিন্তু কেন এত গরিব হয়ে গেল সেই বিষয়টা জেনে নেই, কারণ হিসেবে দেখা যায় যে, ইংরেজদের কারণে যখনই দেশটি উন্নতির শিখরে ছিল ঠিক তখনই ইংরেজরা লুট করতে থাকে এই দেশ টিকে। যার ফলে একটা সময় এই দেশটিতে আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে। না এবং আরেকটি কারণ হচ্ছে এদেশের মানুষ অনেকটাই অলস প্রকৃতির তারা কাজের থেকে বেশি কথা বলে সময় নষ্ট করে।
তাছাড়া 2007 সালে হওয়া ঘূর্ণিঝড় এবং 2010 সালে হওয়া ভূমিকম্পের কারণে এই দেশটির ইকোনমি আরো নড়েচড়ে বসে, ইকোনোমি খারাপ হওয়ার ফলে খাদ্যের দাম যেমন বেরে গিয়েছে ঠিক তেমনি এখানে আট ঘন্টার বেশি আবার বিদ্যুৎ থাকেনা কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন এখানে সরকারি আর একটা বিশাল অংশ আসে টুরিস্ট দের কাছ থেকে। আর বছরে চার মাস এই দেশতি টুরিস্ট জন্য মোস্ট ফেভারিট প্লেস এর মধ্যে একটি কারণ এখানে বীজগুলো সুন্দর এবং এখানে সি-ফুড গুলোর দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই কম। তবে এদেশের মানুষের মধ্যে আরেক ধরনের সমস্যা আছে তারা একটু কালো জাদুতে বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাস তারা চাইলেই খারাপ শক্তিকে নিজের কাছে রাখতে পারবে এবং ওগুলো নিয়ে তারা চর্চাও করে।