রাজনীতি
আরও এক পঞ্চায়েত হাতছাড়া বিজেপির
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : ২০২১ সালে রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু ফল হয় উল্টো, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল। বিজেপি আটকে যায় ৭৭-এ। কিন্তু তারপর থেকেই পদ্ম শিবিরে ভাঙন শুরু হয়। একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়তে শুরু করে। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেতা দু’টো সিট দিনহাটা এবং শান্তিপুর উপনির্বাচনে হাতছাড়া হয়।
এই মুহূর্তে রাজ্যে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৭০-এ। শুধু বিধায়ক নয়, একের পর এক নেতা, কর্মী দল ছাড়তে শুরু করেছে। আবারও ভাঙল গেরুয়া শিবির। এবার চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ডের দখল নিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত সেখানকার প্রধান ববিতা কাছুয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা এনেছিলেন ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য। মঙ্গলবার ছিল তলবি সভা। তাতে ভোটাভুটির পর নয়া প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের রন্থি তিরকি। প্রধান পদে রন্থির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবিনা লাকড়া। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে চা বাগান ঘেরা চম্পাগুড়িতে বিজেপি একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। গেরুয়া শিবিরের হয়ে ভোটে জেতা ৭ সদস্য সম্প্রতি দল বদল করে শাসকদলে নাম লেখান।
বিজেপির হাত থেকে বোর্ড হাতছাড়া হওয়ার এটাই কারণ। এদিন বোর্ডের দখল নেওয়ার পরপরই বিজয় উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। অকাল হোলিতে মেতে উঠতে দেখা যায় তাঁদের। নয়া প্রধান রন্থি তিরকিকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ গণেশ ওরাওঁ, নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি সুরেশ ওরাওঁ ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অসিতাভ বসু সহ আরও অনেকে। বিদায়ী প্রধান ববিতা কাছুয়া জানিয়েছেন, উন্নয়নের কাজে চম্পাগুড়ি পঞ্চায়েত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।
বিরোধী হিসেবেও সদর্থক ভৃমিকাই পালন করে যাবেন তিনি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চম্পাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিল্প ও পরিকাঠামো উপসমিতির সঞ্চালক মনোজ ভুজেল জানান, তাঁদের বোর্ডের মাধ্যমে এখানে নজরকাড়া উন্নয়ন হয়েছে। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কয়েকজন দল ছাড়ে। তাতে পরোয়া নেই। তাঁরা মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন।