বাংলার খবর
লিভ-ইন পার্টনারকে নিয়ে গড়িয়ায় আত্মঘাতী যুবক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বুধবার জোড়া আত্মহত্যার সাক্ষী রইল শহর কলকাতা। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল এক যুবক এবং তাঁর লিভ-ইন পার্টনারের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতায় বাঁশদ্রোণী থানার অন্তর্গত গড়িয়া এলাকায়। আরও আশ্চর্যজনক ঘটনা হল, আত্মহত্যা করার আগে ইমেইল করে থানায় সুইসাইড নোটও পাঠিয়েছিলেন ওই যুবক। জোড়া রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়া ব্রহ্মপুর মোড়ের কাছে একটি আবাসনে থাকতেন হৃষিকেশ পাল ও তাঁর প্রেমিকা রিয়া সরকার। ওই ফ্ল্যাটের অন্যান্য বাসিন্দা এবং প্রতিবেশীদের দাবি, তাঁরা লিভ-ইন করতেন। ওই যুগলের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ করতে না পারায় বাঁশদ্রোণী থানায় খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে ওই আবাসনে পৌঁছে পুলিশ ডাকাডাকি করেও তাঁদের কোনও সাড়াশব্দ পায়নি। তারপর ফ্ল্যাটে চাবি জোগাড় করে ভিতরে ঢোকে পুলিশ। ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে বিছানার মধ্যে পড়ে রয়েছে দু’জনের নিথর দেহ। তাঁদের পাশেই পড়েছিল ঘুমের ওষুধের ফাঁকা পাতা। দেহ দু’টি উদ্ধার করে বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানেই চিকিৎসকরা ওই যুগলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘুমের ওষুধ খেয়েই দু’জনে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। তাতে লেখা ছিল, সম্প্রতি তাঁরা একটি ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিয়েছিলেন। কিন্তু একটি সমস্যার কারণে সেই ডিস্ট্রিবিউটরশিপ ছেড়ে দিতে বাধ্য হন তাঁরা। তার ফলে চরম আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়ে ছিলেন তাঁরা। সেই কারণেই তাঁরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ চলে যাওয়ায় আর্থিক সংকটের কারণেই আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে সম্পর্কের কোনও টানাপোড়েন ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত দু’জনেরই পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।