বাংলার খবর
৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ির পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার ছাত্রীর দেহ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। পুরাতন মালদহের হালনা গ্রামে পুকুর থেকে উদ্ধার হল ছাত্রীর মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, পাঁচ দিন ধরেই নিখোঁজ ছিল একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ জেলার পুরাতন মালদহ থানার যাত্রাডাঙ্গা এলাকার হালনা গ্রামে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মালদহ থানার পুলিশ। ঘটনায় মৃত ছাত্রীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ ছাত্রীর বাড়ির পিছনের পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে শিকড়ে বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সন্দেহবশত গ্রামেরই এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। মৃত ওই ছাত্রীর নাম অহরেফা খাতুন।পরিবারের অভিযোগ, গত ১৮ তারিখ রাত থেকেই হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায় ওই ছাত্রী। পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে দু-এক ফোঁটা রক্তের দাগ দেখতে পায় এলাকাবাসীরা। শুধু তাই নয়, একটি শরীরকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার কিছু দাগ দেখতে পান তাঁরা। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারাই খবর দেয় মালদা থানায়।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে একটি অন্তর্বাস এবং মৃতার একটি ব্যাগ উদ্ধার করে। তল্লাশি করে ব্যাগ থেকে একটি চিঠিও পাওয়া যায়। এরপরই তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের সন্দেহ বাড়ে। পরিত্যক্ত বাড়ির পিছনের একটি পুকুরে শুরু হয় তল্লাশি। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দেহ। ওই তরুণীর পরিবারের দাবি, ওই ছাত্রীকে খুন করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনা ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। জানা গিয়েছে, মালদহ থানার পুলিশ যাত্রাডাঙ্গা অঞ্চলের হালনা গ্রামে গিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়ির পিছনের পুকুর তল্লাশি চালায়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর দেহ উদ্ধার হয়নি। পরে থানায় এসে পুলিশ আটক যুবক শামীম আখতারকে জেরা করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে শামীম স্বীকার করে সেই ওই ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে এবং দেহ বাড়ির পেছনে পুকুরে একটি গাছের শিকড়ে তলায় ঢুবিয়ে দিয়েছে। পুলিশের কাছে ধৃত যুবক জানায় যে ওই তরুণীর নাকি তাঁর সঙ্গে ছাড়াও আরও কয়েকজন যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই জন্যই সে তাকে খুন করেছে।কারণ, ওই তরুণী তার জীবন নষ্ট করে দিচ্ছিল। তবে একা মেরেছে, না আর কাউকে সঙ্গে নিয়ে সে খুন করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।