মহানগর
Kolkata: পাঁচতলা ফ্ল্যাটের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার প্রাক্তন বিমানসেবিকার দেহ
কি ছিলো রহস্যমৃত্যু ! আত্মহত্যা, খুন নাকি নিছকই কোন দুর্ঘটনা ? নিহত প্রাক্তন বিমানসেবিকা দেবপ্রিয়া বিশ্বাস (Debapriya Biswas), কলকাতার ই এম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটনে ওই বিমানসেবিকার রহস্যমৃত্যু

কলকাতার খবর : কি ছিলো রহস্যমৃত্যু ! আত্মহত্যা, খুন নাকি নিছকই কোন দুর্ঘটনা ? নিহত প্রাক্তন বিমানসেবিকা দেবপ্রিয়া বিশ্বাস (Debapriya Biswas), কলকাতার ই এম বাইপাসের ধারে মেট্রোপলিটনে ওই বিমানসেবিকার রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাক্তন বিমানসেবিকাকে উদ্ধার করা হয় পাঁচতলা ফ্ল্যাটের নিচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় । প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । তদন্তকারীরা নিহত দেবপ্রিয়া বিশ্বাসের পরিবারের সাথে কথা বলছেন ।
নিহত দেবপ্রিয়া বিশ্বাস, ২০১৯ সালে কাতার এয়ারওয়েজে (Qatar Airways) চাকরি করতেন। জানা যায়, লকডাউনের পর থেকে তিনি আর কোনও কাজ করছিলেন না। শনিবার বিকেলে দেবপ্রিয়া তার দিদির ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, দেবপ্রিয়া কাউকে কিছু না জানিয়ে পাঁচতলা আবাসনের ছাদে চলে যায় । কিছুক্ষণের মধ্যে প্রত্যেকেই কিছু নিচে পড়ে যাওয়ার শব্দ পান । স্থানীয় যুবকরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। দেখা যায় ফ্ল্যাটের নিচে পড়ে রয়েছেন দেবপ্রিয়া। চারিদিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছে । ঘটনা স্থলে বিমানসেবিকার হাতের মুঠোয় ছিল একটি চাবির গোছা।
আরোও পড়ুন – এক কেজি মাছের দাম চল্লিশ হাজার টাকা, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ জেলের
স্থানীয়দের শোরগোল শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। তবে অ্যাম্বুল্যান্স আসার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছন প্রাক্তন বিমানসেবিকার মা। স্থানীয়দের অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছতে অনেকক্ষণ সময় লেগেছে তাই স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় প্রাক্তন বিমানসেবিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ট্যাক্সিতে তোলা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে, ততক্ষণে যদিও সব শেষ। অবশেষে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে দেবপ্রিয়ার। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরোও পড়ুন – গাড়িতে সিটবেল্ট না পরার শাস্তি পেলেন দেশের খোদ প্রধানমন্ত্রী
শহরের এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। দেবপ্রিয়া আত্মহত্যা করেছেন নাকি নিছক দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে খুনের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীদল। প্রাক্তন বিমানসেবিকার পরিবারের লোকজন এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের স্বাভাবিক অনুমান পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এই ঘটনা সংক্রান্ত যাবতীয় জট কাটবে।