তৃষ্ণার্ত কাঠালগুড়ি চা বাগানের শ্রমিকেরা, মিলল সুরাহা

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তৃষ্ণার্ত কাঠালগুড়ি চা বাগানের হাজার হাজার মানুষ। প্রাণ ভরে জল পানের জন্য প্রহর গুনছে তাঁরা। দ্রুত গতিতে চলছে পি এইচ ই দপ্তরের পানীয় জল প্রকল্পের কাজ।

জলপাইগুড়ি জেলার এক প্রান্ত তথা ভারতের শেষ সীমানা, বানারহাট থানার অন্তর্গত কাঠালগুড়ি চা বাগান, যার পরেই মাথা তুলে দাঁড়িয়ে ভুটান দেশের সবুজ পাহাড়, নিচ দিয়ে বয়ে চলছে চামুরচি নদী। এক সময় বাঙালি চা শিল্পপতিদের হাতে থাকা এই কাঠালগুড়ি চা বাগান বন্ধ হয়ে যায়, প্রায় দশ বছর পর নতুন মালিকের হাত ধরে আবার শুরু হয় চা পাতা তোলার কাজ। যার ফলে কোন রকমে দিন কাটছে চা বাগানের সঙ্গে যুক্ত প্রায় আট হাজার মানুষের। এদিকে চা বাগানের সমস্যা মিটলেও মেটেনি পানীয় জলের সংকট। আজও এই চা বাগানে বসবাসকারী একটি বড় অংশের মানুষের তৃষ্ণা মেটে সরু পাইপের মধ্যে দিয়ে আসা সেই দূরের ভুটান পাহাড়ের গা ঘেষে বয়ে চলা চামুরচি নদীর ঘোলা ডোলোমাইট মিশ্রিত জলে।

তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের পি এইচ ই  দপ্তর এগিয়ে আসায় মিটেছে শ্রমিকদের তৃষ্ণা, তিনটি টিউবওয়েল দিয়ে বর্তমানে চলছে জল সংকট মেটাবার কাজ। পি এইচ ই দপ্তর এখানে একটি বড় জলাধার নির্মাণ করছে যার জল ধারণ ক্ষমতা ২০০ কিউবিক মিটার ,বসেছে ডিপ টিউবওয়েল, তাই এবার সকলেই পাবে স্বচ্ছ পানীয় জলের পরিষেবা, আর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুহাত তুলে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা উমেশ দর্জি।