বাংলার খবর
১৩ বছরে কেউ কথা রাখেনি, এখনও চাকরির আশায় মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে কাশেদ আলির পরিবার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সালটা ছিল ২০০৯। রাজ্যে তখন ক্ষমতায় বামফ্রন্ট সরকার। সেই বছরের ১৮ জুলাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতার ধর্মতলার তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাই শহীদ সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন জলপাইগুড়ির বানারহাট ব্লকের দুরামারী দক্ষিণ শালবাড়ীর তৃণমূল কর্মী কাশেদ আলি। ওইদিন বীরপাড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মাঝ রাস্তায় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষের অকালে চলে যাওয়ায় ছোট ছোট পুত্র-কন্যাকে নিয়ে চরম সংকটে পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী গুলজান বেগম। তৎকালীন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দেব বাড়িতে এসে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা করেছিলেন। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে পরিবারের একজনকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনটাই দাবি মৃত কাশেদ আলির পরিবারের। দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চালিয়ে বর্তমানে নিজের কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন গুলজান বেগম। দিনমজুরি করেই চরম অসহায় অবস্থায় চলছে সংসার।
দু’দিন পরে ফের ২১ জুলাই। তার আগেই পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের সদস্যদের। বর্তমানে রাজ্যে ক্ষমতায় তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবু এখনও পর্যন্ত পরিবারের কারও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। একথা ভেবে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। মৃত কাশেদ আলির স্ত্রী গুলজান বেগম আক্ষেপ সাথে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে আমাদের কেউ খোঁজ নেয় না। শহীদ সমাবেশ যেতে মন চাইলেও পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আমরা এখনও তৃণমূল কংগ্রেসকে আগলে বেঁচে আছি। দিদির কাছে আর্জি জানাই যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।’ একই দাবি মৃত কাশেদ আলির ভাই রমজান আলীর।