বাংলার খবর
বাড়িতে মানেনি সম্পর্ক, ফেসবুকে বিশেষ বার্তা দিয়ে চরম সিদ্ধান্ত যুগলের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাড়ির অমতে নাবালিকা প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে। প্রেমিকার পরিবার এই বিয়ে মেনে নিতে না পেরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনায় ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলির কামারকুণ্ডু এলাকায়। জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই নাবালিকার। মেয়ের বাড়িতে মেনে নিচ্ছিল না সেই সম্পর্ক। যারফলে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছিল ছেলে দেখা। কিন্তু তার আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেয় ওই যুগল।
জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্য দেখাশোনা শুরু হতেই প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা। এরপর শনিবার কামারকুন্ডু ও বলরামবাটি স্টেশনের মাঝে রেল লাইন থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাদের দু’জনকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে মৃত্যু হয় প্রেমিকের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি নাবালিকা।
আরও পড়ুন: তৃষ্ণার্ত কাঠালগুড়ি চা বাগানের শ্রমিকেরা, মিলল সুরাহা
জানা গিয়েছে, কামারকুন্ডু ও বলরামবাটি স্টেশনের মাঝে রেল লাইন থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই প্রেমিক যুগলকে উদ্ধার করে কামারকুন্ডু জিআরপি। প্রথমে তাদের সিঙ্গুর গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রেমিককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নাবালিকা প্রেমিকার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ওই প্রেমিকের নাম মিলন বারিক (২২)। বাড়ি হরিপালের সহদেব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বোড়াইপুর শিবতলা এলাকায়। বেশ কিছুদিন ধরে মিলনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে উঠেছিল পাশের বাড়ির নাবালিকার। গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অমতেই মিলনের হাত ধরে বেরিয়ে যায় নাবালিকা। তারা দুজনে বিয়ে করবে বলেও জানায় পরিবারকে।
জানা গিয়েছে, নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়।
বাড়ি ফিরে আসার জন্য বার বার ফোনে যোগাযোগ করা হয় তাদের সঙ্গে। অন্যদিকে মিলনের বাবাকে পুলিশ ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল অধ্যাপক নিয়োগের ইন্টারভিউ, অঙ্কিতার নাম থাকাতেই কি এই সিদ্ধান্ত? জল্পনা তুঙ্গে
এরপর দুজনেই বাড়ি ফিরে আসছে বলে জানায় তাদের পরিবারের সদস্যদের। কিন্তু রাত দশটার পর ফোন বন্ধ হয়ে যায় দুজনের। রাতেই দুজনকে রেল লাইন থেকে উদ্ধর করে জিআরপি। মিলনের কাকা বৈদ্যনাথ বারিক বলেন, ”ভাইপো ওই মেয়েটাকে ভালোবাসত। ওদের বাড়ি যাতায়াত ছিল। মেয়ের মা বাবা সব জানত।ওরা দুজনে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। পুলিশে অভিযোগ জানালে আমরা ওদের ফিরে আসতে বলি। কালকে ফিরে আসবে বলেও এই ঘটনা ঘটাল। ভয়েতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনে হয়।”