বাংলার খবর
Jalpaiguri news: সুবুজায়নের বার্তা নিয়ে সাইকেলে কন্যাকুমারী হয়ে লাদাখের পথে জলপাইগুড়ির পুষ্পেন্দু!

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘গো গ্রীন’ এই বার্তাকে সামনে রেখে সাইকেল নিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা থেকে কন্যাকুমারী হয়ে লাদাখের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন পপুষ্পেন্দু বসু রায়। পেশায় মেলার কর্মী ওই যুবক পরিবেশকে রক্ষা করতে এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের বার্তা দিতেই এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন।
মাথায় হেলমেট চোখে রোদ চশমা! সাইকেলের কেরিয়ারে বাঁধা বড় বড় বেশ কয়েকটি ব্যাগ, সোলার প্যানেল চার্জার। সামনে ও পিছনে একটি প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ‘ডুয়ার্স মেন’। পথে থেমে কখনও পথচলতি খুদেদের পরিবেশ রক্ষার পাঠ পড়াচ্ছেন। আবার বোঝাচ্ছেন গাছ লাগানোর উপকারিতা। জলপাইগুড়ির গয়েরকাটার এশিয়ান হাইওয়ে ৪৮ এর ওপর পুষ্পেন্দুর সাইকেল অভিযান দেখে হতবাক স্থানীয়রা। সকলেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আগামী পথের রুটম্যাপ দিয়ে সাহায্যও করেন তাঁরা।
স্কুলজীবন থেকেই সাইকেল সঙ্গী জলপাইগুড়ি বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটার বাসিন্দা বছর ত্রিশের পুষ্পেন্দু বসু রায়ের। স্কুল, টিউশন অথবা বিভিন্ন এলাকায় ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে দু’চাকার যানটিই বড় ভরসা তাঁর। এর আগে সাইকেলে জলপাইগুড়ি গিয়েছিলেন তিনি।
আজকাল দু’-এক কিলোমিটার যেতেই অধিকাংশ মানুষই মোটরবাইক কিংবা গাড়ির ব্যবহার করেন। মোটর বাইক ও গাড়ির সংখ্যা বাড়ায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই কারণেই চলাচলের সাথী হিসেবে সাইকেলকে বেছে নেওয়ার বার্তা দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন পুষ্পেন্দু। ৭৫ দিনের মধ্যে কন্যাকুমারী থেকে লাদাখ হয়ে গয়েরকাটা ফিরে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তাঁর এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন গয়েরকাটা থেকে রওনা দেওয়ার আগে স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পুস্পেন্দুর ভাই শুভেন্দু বসু রায় জানিয়েছেন, ‘গো গ্রীন বার্তা নিয়ে দাদা যাচ্ছে। ওর অনেক দিনের শখ এভাবে সাইকেল নিয়ে পাড়ি দেওয়ার। প্রথমে সমর্থন করিনি। এখন সবাই যখন ওকে সমর্থন করছে। তাই আমরাও সমর্থন করছি। প্রায় তিন মাসের ওপর সময় লাগবে। আশা করছি ও ভালোমতো পৌঁছবে।’