বাংলার খবর
মৃত্যুদণ্ডের সাজাকে চ্যালেঞ্জ, কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন লস্কর জঙ্গির
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মৃত্যদণ্ডের সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এক লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি। মঙ্গলবার ব্যক্তিগতভাবে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন লস্কর জঙ্গি শেখ আব্দুল নইম।
২০০৭ সালে বেআইনি ভাবে বেনাপোল-পেট্রোপোল সীমান্ত হয়ে ভারতে ঢোকার সময় সীমান্ত থেকে নইম সহ তাঁর আরও তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে বিএসএফ। ধৃতদের কাছ থেকে বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক পাওয়া যায়। জানা যায়, ভারতে বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদের বাসিন্দা নইম ছাড়াও ওই দলে ছিলেন মুজফ্ফর আহমেদ নামে এক পাকিস্তানি। এ ছাড়াও মহম্মদ ইউনুস নামে এক কাশ্মীরে বসবাসকারী ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় বিভাজনের রাজনীতি চলবে না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ (রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো), ৪৬৮ (জালিয়াতি), ৪৭০ (নথি জালিয়াতি) এবং ফরেনার্স অ্যাক্টের ১৪ (ভারতের বাইরে ভারতের একটি অঞ্চলে থাকা) ধারা সহ আইপিসির বেশ কয়েকটি ধারায় অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে। বনগাঁ আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টে নিজে সওয়াল করার জন্য আবেদন করেন নইম। তারপরই তাঁকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মঙ্গলবার তিহার জেল থেকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
শুনানির আধঘণ্টা আগে আদালতে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। গোটা আদালত চত্বরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুনানির আগে সাংবাদিক সহ উপস্থিত সকলের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। আগামী ১৭ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ততদিন পর্যন্ত হাইকোর্ট নইমকে কলকাতার কোনও সংশোধনাগারে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে কোন জেলে রাখা হবে, সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্ৰহন করে ডিজি (কারা) এবং ডিজি পুলিশকে দোষীকে সংশোধনাগারের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও নইম নিজে প্রেসিডেন্সি জেলে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: কলেজ ছাত্রীকে নৃশংস হত্যা! খুনের আগে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ন পোস্ট সুশান্তর
তাঁকে আইনজীবীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আলোচনা করার সুযোগ জেল কর্তৃপক্ষকে করে দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। আদালতে নিজের হয়ে সওয়াল নিজেই করবেন বলে জানিয়েছেন নইম। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করার জন্য আমিকাস কিউরি নিতে অনুরোধ করে আদালত। কিন্তু তিনি তাও নিতে অস্বীকার করেন। মুম্বই বিস্ফোরণ মামলার সঙ্গেও নইমের যোগসূত্র ছিল বলে জানা গিয়েছে।