বাংলার খবর
কলেজ ছাত্রীকে নৃশংস হত্যা! খুনের আগে ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ন পোস্ট সুশান্তর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সোমবার ভরসন্ধ্যায় বহরমপুর গোরাবাজার শহিদ সূর্যসেন রোডে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরীকে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় ধৃত সুশান্ত চৌধুরীর ১০ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দিল আদালত। নৃশংস এই খুনের ঘটনায় সামশেরগঞ্জ থেকে ধৃতকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
বহরমপুরের গোরাবাজারে ভর সন্ধ্যায় যুবতীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে জেরা করে উঠে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। সোমবার রাতে ঘটনার ৩ ঘণ্টার মধ্যেই মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় সে জানিয়েছে, সুতপা চৌধুরী নামে ওই তরুণী একাধিক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়ানোয় তাকে খুন করেছে সে।
ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, যুবকের বাড়ি মালদার পুকুরিয়া থানার পিরগঞ্জে। মালদার ইংরেজবাজারে পিসির বাড়িতে থেকে পড়াশুনো করত সে। উলটো দিকেই ছিল সুতপাদের বাড়ি। পুলিশের অনুমান, উত্তেজনার বশে নয়, রীতিমতো পরিকল্পনা করে সুতপাকে খুন করেছে সুশান্ত। তার ফেসবুক প্রোফাইলে এক বার্তায় সেকথা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিকমতো হচ্ছিল না, ফিউজ সারাই করতে গিয়ে চরম পরিণতি যুবকের
এই বিষয়ে সুতপার বাবা বলেন, ”মেয়েকে ব্লাকমেল করত ছেলেটি। ফোনে ভয় দেখাত। এই নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরকে নিয়ে আলোচনা হয়। দুজনকেই পড়াশুনোয় মন দিতে বলি। কিন্তু ও যে মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাইনি।”
শুধু তাই নয়, সুশান্তের বিরুদ্ধে সুতপাকে খুনের অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি মৃত ছাত্রীর বাবার। সুশান্তর বিরুদ্ধে কাউন্সিলরকেও অভিযোগ দায়ের করা হয় জানিয়েছেন নিহত সুতপার বাবা স্বাধীন কুমার চৌধুরী। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনেই ওইদিন রাতেই মৃত ছাত্রীর বাবা স্বাধীন কুমার চৌধুরী বহরমপুরে ছুটে আসেন। মঙ্গলবার পরিবারের হাতে ছাত্রীর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মৃত ছাত্রীর বাবা। তিনি বলেন, ”আগে মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। পরে ব্রেকআপ হয়ে যায়। তারপরে থেকেই মেয়েকে খুনের হুমকি দিত। দোষী যুবকের চরম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: খুশির ইদে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়ে চরম পরিণতি যুবকের, ফেরা হল না বাড়ি
এদিকে ধৃত সুশান্ত চৌধুরীকে এদিন ডাক্তারি পরীক্ষার পরে বহরমপুর জেলা পুলিস হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে তোলা হয়। এরপর ধৃতকে দশ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে খুন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।