দেশের খবর
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ, ঘিয়ের সঙ্গে ছিল মদ! সেই সুলতান আর নেই
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : পুরো নাম সুলতান ঝোটে। হরিয়ানার কৈথলের বুড়াখেড়া গ্রামের এই বাসিন্দা পরিচিত ছিলেন সুলতান নামেই। দুধ, ঘি তো খেতই। তার সঙ্গে রোজ সন্ধে হলেই নিয়ম মেনে চলত সুরাপানও! দু’দিন আগেই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ‘সুলতান’-এর। এতক্ষণ যার কথা হচ্ছিল সে আসলে কোনও ব্যক্তি নয়। একটি মোষ। তবে মোষ বললেও ভুল বলা হবে। সুলতানের দাম ছিল ২১ কোটি টাকা! হরিয়ানা-সহ গোটা দেশেই অত্যন্ত পরিচিত ছিল সুলতান।
হরিয়ানার এই মোষ খবরের শিরোনামে এসেছিল তার এই দামের জন্যই। সেই সুলতানের হঠাৎ মৃত্যুতে রীতিমতো হুলুস্থুল পড়ে গিয়েছে হরিয়ানায়। সুলতানের মালিক নরেশ বেনিওয়াল খুব ছোট থেকেই সুলতানকে সন্তানের মতো করেই লালনপালন করছেন। তার সারাদিনের ডায়েট চার্ট শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার যোগার হবে। দেশি ঘি আর দুধ সুলতানের নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ছিল। শুধু তাই নয়, ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের দেড় টন ওজনের সুলতান এক দিনে ১০ কেজি দুধ, ২০ কিলো গাজর, ১০ কিলো সব্জি এবং ১২ কিলো পাতা খেত। তার সঙ্গে সন্ধ্যায় রীতিমতো আয়েশ করে মদ্যপানও করত সুলতান। দেশের প্রায় সমস্ত পশু মেলা থেকেই পুরস্কার জিতেছে সুলতান। ২০১৩ সালে সর্বভারতীয় পশু প্রতিযোগিতায় ঝাঝর, কারনাল এবং হিসারে সেরার পুরস্কার জিতেছিল সুলতান।
সুলতানের পিছনে খরচ প্রচুর হলেও মালিক নরেশকেও কোটিপতি বানিয়ে দিয়েছিল সুলতান। কারণ সুলতানের বীর্যের বিশাল চাহিদা ছিল। নরেশ নিজেই জানিয়েছেন, সুলতানের বীর্য বিক্রি করে বছরে লাখ লাখ টাকা আয় করতেন তিনি। বছরে সুলতানের ৩০ হাজার ডোজ বীর্য বিক্রি হত। প্রতি ডোজের দাম ছিল ৩০৬ টাকা। আর এই কারণেই রাজস্থানের পুষ্কর পশুমেলায় সুলতানের দাম উঠেছিল ২১ কোটি টাকা। কিন্তু নরেশ সুলতানকে তাঁর সন্তানের মতো করে মানুষ করায় এই বিপুল দাম পেয়েও বিক্রি করেননি। তাই সুলতানের অকালমৃত্যুতে রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন নরেশ।