বাংলার খবর
স্বামী খুনে গ্রেফতার প্রেমিক, আটক স্ত্রী, মনুয়া কান্ডের ছায়া ধনিয়াখালিতে!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত ২৯ এপ্রিল ধনিয়াখালির ভান্ডারহাটি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলপারা এলাকার একটি কুয়ো থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করেন পুলিশ। মৃত ব্যক্তি প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় ছিলেন। এরপরে পুলিশ বিভিন্ন থানায় খবর পাঠিয়ে জানতে পারেন, জাঙ্গীপাড়া থানার মহেশপুর গ্রামের সনতন মাল(৪৬) নিখোঁজ রয়েছেন। ছবি দেখে সনাতনকে শনাক্ত করেন তাঁর স্ত্রী চাঁপা মাল।
জানা গিয়েছে, হরিপালের চাঁপার সঙ্গে বছর সতেরো আগে বিয়ে হয় জাঙ্গীপাড়ার মহেশপুরের সনাতন মালের (বুড়ো)।তাদের একটি বছর পনেরোর ছেলেও রয়েছে। পুলিশ জানতে পারেন যে, চাঁপার দিদি দোলন ধারা ভান্ডারহাটি দেউলপাড়ার বাসিন্দা। সেখানেই যাতায়াতের সুবাদে বছর সাঁইত্রিশের বেচারাম মালিক(বেচু)এর সঙ্গে প্রায় সাত বছর ধরে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে ছিলেন চাঁপা।
দুজনকে জিজ্ঞাসাবা করে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৮ এপ্রিল চাঁপা ধনিয়াখালিতে ডাক্তার দেখাতে আসে।তাকে নিতে আসেন সনাতন। সেখানেই দেখা হয় বেচারামের সঙ্গে।পূর্বপরিচিত হওয়ায় বেচারাম তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। দুজনে মদ্যপান করে। এরপর হাতুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে গলার তার পেঁচিয়ে সনাতনকে খুন করে বেচারাম। বাড়িতেই মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখে।রাতে বাড়ি থেকে প্রায় তিনশো মিটার দূরে একটা কুয়োতে নিয়ে গিয়ে দেহ ফেলে দেয়।
আরও পড়ুন: দুয়ারে কালবৈশাখী, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভিজবে এই জেলাগুলি
জানা গিয়েছে, অলোক বরন শীল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভারা থাকেন দামু লোহার। এদিন দামু কুয়োর জল তুলতে গিয়ে দেখেন জলের রঙ লাল এবং দুর্গন্ধ যুক্ত। ইঁদুর বা অন্য কিছু মরেছে ভেবে কুয়োর ঢাকনা সরিয়ে দেখেন একটি বস্তা পড়ে রয়েছে। এরপর ধনিয়াখালি থানার পুলিশ গিয়ে বস্তা তুলে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃতের মাথায় আঘাত গলায় দাগ ছিল।পুলিশের অনুমান ছিল শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মৃতদেহ কুয়োয় ফেলা হয়েছে।মৃত তখনও অজ্ঞাত পরিচয় থাকায় তার পরিচয় খোঁজা শুরু করে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে জাঙ্গীপাড়ার মহেশপুরে সনাতনের ঠিকানা পেয়ে যায়।সনাতনের স্ত্রী চাঁপা মালকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেখান থেকে তার প্রেমিক বেচারামের কথা জানতে পারে। শনিবার রাতেই বেচারামকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে দশ দিনের হেফাজত চেয়ে রবিবার চুঁচুড়া আদালতে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: টানা ৪০ দিনের লড়াই শেষ, বগটুই হত্যাকাণ্ডে মৃত আরও ১
পুলিশি জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত।স্বামী খুনে স্ত্রীর যোগ রয়েছে চাঁপার সন্দেহ পুলিশের।তাই বেচারাম ও চাঁপাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে সত্য উদঘাটন করতে চাইছে তদন্তকারীরা।বেচারাম ও চাঁপার ফোন কল খতিয়ে দেখা হচ্ছে।অভিযুক্ত বেচারামের দাবী টাকা পয়সা নিয়ে গন্ডোগোলের জেরে খুন করেছে সে।পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।।।