বাংলার খবর
তোলাবাজি নিয়ে কড়া বার্তা, অগস্ট জুড়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে জনসংযোগে জোর মমতার

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বৃহস্পতিবার বৃষ্টি ভেজা একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে বাম-বিজেপিকে যেমন একযোগে আক্রমণ করেছেন, তেমনই, দলীয় নেতাকর্মীর বিধায়ক সাংসদদের উদ্দেশ্য কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবারের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তোলাবাজি নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মমতা। প্রায়ই দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। বিরোধীরাও এই নিয়ে সরব হয়েছেন। তাই এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘তৃণমূলের নামে কেউ টাকা তুললে সোজা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। তৃণমূল শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। আমি দেখতে চাই, আমার বিধায়ক, সাংসদরা চায়ের দোকানে বসে আড্ডা মারুন, তবে নিজেই চা খাওয়ান, অন্যের টাকায় খাবেন না। বিধায়করা রিকশা নিয়ে ঘুরবেন, কর্মীরা সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে জনসংযোগ করবেন।’
সেই সঙ্গে আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে গোটা দেশ থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেওয়ারও ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেছেন, ‘অসংখ্য শিল্পপতি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটাই বিজেপির উন্নয়নের মডেল। তাই আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে একটি আসনও জিততে দেওয়া যাবেনা। বাংলাকে একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। গরিব মানুষ সাত মাস ধরে কাজ করে টাকা পাচ্ছেন না। আরও কত টাকা বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কেন আমার হকের টাকা বন্ধ করে দিলেন? ভোটে হেরেছেন বলে ভাতে মারার চেষ্টা করবেন?তাই চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভেঙে দিন। দেশে গরিবের প্রধানমন্ত্রী চাই।’
মমতা বলেন, ‘আমি চাই, ভারতে একটাই আদর্শবাদী রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নাম তৃণমূল। ভারতে একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক, তার নামে সাংস্কৃতিক তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতে একটাই হিম্মতদারী দল থাকুক, তার নামে তৃণমূল কংগ্রেস। চব্বিশে বিজেপির কারাগার ভেঙে দিন। চব্বিশে মানুষের সরকার আনো। জয় বাংলা দিচ্ছে ডাক, জয় ভারত বেঁচে থাক।’
এদিন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই দলের কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে আগামী কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এই কর্মসূচি গুলোর মাধ্যমে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৯ তারিখ হবে। সেদিন গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণাঙ্কুর, দেবাংশু সবাইকে বলেছি, জমায়েত হবে। ৯ অগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস। ওইদিন সব আদিবাসীদের সংবর্ধনা জানানো হবে। ওইদিন আবার মহরম রয়েছে। যা অনুষ্ঠান হবে, তা সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে করে দিতে হবে। ওদিন ভারত ছাড়ো আন্দোলনের দিন। ১টার পর মহরমের র্যালি বের হয়। কোনও ঝামেলা যেন না হয়। ১৪ অগস্ট দেশাত্মবোধক অনুষ্ঠান করতে হবে। ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। পুজোর আগে পর্যন্ত প্রোগ্রাম তৈরি করে দিয়েছি। তারপর দেখব কতটা মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছছেন, কতটা দল করছেন।’