নিজের রক্ত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি আঁকলেন দুর্গাপুরের যুবক

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: মনের গভীর ভালোবাসা বা শ্রদ্ধা জানাতে অনেকেই রক্ত দিয়ে চিঠি লেখা বা ছবি এঁকে থাকেন। এবার সেরকমই এক কাণ্ড ঘটালেন দুর্গাপুরের এক যুবক। নিজের শরীরের রক্তকেই রং হিসেবে ব্যবহার করে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুললেন তাঁর সবথেকে পছন্দের এবং প্রিয় মানুষটির ছবি। নিজের রক্ত দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আঁকলেন দুর্গাপুরের সুরজিৎ রায়। বুধবার দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে দুই বর্ধমানকে নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই তাঁর হাতে রক্ত দিয়ে আঁকা ছবি মুখ্যমন্ত্রীকে উপহার হিসেবে তুলে দিতে চান সুরজিৎ।

দুর্গাপুর আমরাই গ্রামের বাসিন্দা ২১ বছরের সুরজিতের ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকার প্রতি শখ। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর থেকে তিনি ছবি আঁকা শেখানো শুরু করেছেন। পাশাপাশি আবার ছোটবেলা থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন অনুগামী। অন্ধ ভক্তও বলা যেতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক এবং জনকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলো মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি সুরজিতের শ্রদ্ধা ও ভক্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী দুর্গাপুরে আসছেন শুনেই তাঁকে একটি নিজের হাতে আঁকা বিশেষ একটি ছবি উপহার দেওয়ার মনস্থির করেছেন সুরজিৎ। আর সেই কারণেই নিজের রক্ত দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একটি ছবি এঁকেছেন তিনি।

বুধবার দুর্গাপুরে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সেই ছবি তুলে দিতে চান সুরজিৎ। এই প্রসঙ্গে সুরজিৎ বলেছেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের খুবই অনুরাগী। বেশ কিছুদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলাম। সেখানে চিকিৎসার আগে আমার রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছিল। তখন চিকিৎসকদের অনুরোধ করে আমি আমার রক্তের কিছুটা নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলাম। সেটা দিয়েই আমি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি এঁকেছি। ওটা আমি তাঁর হাতে তুলে দিতে চাই।’
কিন্তু রক্ত দিয়ে ছবি আঁকার চিন্তা কেন মাথায় এল? তার উত্তরে সুরজিৎ জানিয়েছেন, ‘সবাই তো রং, পেন্সিল, পেন, তুলি দিয়ে ছবি আঁকে। আমি বিশেষ কিছু একটা করতে চেয়েছিলাম। তাই রক্ত দিয়ে ছবি এঁকেছি। আমি সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি উনি প্রশাসনিক বৈঠক করার জন্য দুর্গাপুরে আসছেন। তাই সোমবার থেকেই আমি এই ছবিটা আঁকতে শুরু করেছিলাম।’ তবে বুধবারের এই প্রশাসনিক বৈঠকে জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি নেই। তাই কী করে ছবিটি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন, সেই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সুরজিৎ। তাঁর এই ইচ্ছা পূরণের জন্য সংবাদমাধ্যমের কাছেও সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।