বাংলার খবর
বিদ্যা-বুদ্ধি-ঘরের বউ কাউকে ধার দিতে নেই ! একথা কেন বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ‘বিদ্যা, বুদ্ধি আর ঘরের বউ কাউকে ধার দিতে নেই।’ বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন এনএসএটিআই-এর সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিসেস স্টাডি সেন্টারের অধীনে রাজ্যের ২২টি জেলায়, ২৬টি সিভিল সার্ভিসেস কোচিং স্টাডি সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের আওতায় উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের সহজ শর্তে সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে মমতা আট হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে ‘স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড’ বিতরণ করেন।
তারপরই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবারও বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখনই তিনি বলেন, ‘১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে ৬ মাস ধরে। অনেক ক্ষেত্রেই ইউজিসির টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাংলার বাড়ি যোজনায় টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বুদ্ধি খরচ করতে হয়। বিদ্যা, বই আর ঘরের বউ কাউকে ধার দিতে নেই সবাই বলে। কারণ, নিজের বিদ্যা, বুদ্ধি দিয়ে যে কাজ আপনি করতে পারেন, তার ভালোটা সবাই নিক, কারও খারাপ না হোক।আমরা বুদ্ধি খরচ করেই কাজের সংস্থান তৈরি করছি।’
এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্যকে আর্থিকভাবে ব্লক করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে সেই জায়গায় রাজ্য যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করছে। রাজ্যে নতুন করে চাকরি তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এখন রাজ্যে আইটিআই ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্কিল ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। তারপর ইন্ডাস্ট্রিগুলোর সঙ্গে তাদের যোগসূত্র তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে ফলে এক প্রকার জব ফেয়ার করা হচ্ছে। এর ফলে ইতিমধ্যেই ৩০ হাজার চাকরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এরপর যে কোনদিন আনুষ্ঠানিকভাবে স্কিল ট্রেনিং যারা নিয়েছেন তাদের মধ্যে সেই চাকরিগুলো বন্টন করে দেওয়া হবে। এই ভাবেই রাজ্যে উন্নয়নের কাজ হয়। যত শিল্প তৈরি হবে ততই কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি সব রকম ভাবেই তৈরি করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করে দেখতে হবে যে রাজ্যে কোন ইন্ডাস্ট্রি তৈরিতে উন্নয়ন হবে সাধারণ মানুষ সহ রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থার।এছাড়াও রাজ্যে একাধিক প্রকল্প হচ্ছে যার মাধ্যমে নতুন কাজ তৈরি হচ্ছে।’