বাংলার খবর
পৃথক হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোল জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা ভেঙ্গে জিয়াগঞ্জ ও আজিমগঞ্জ দুটি পৃথক পুরসভা গঠনের পথে প্রশাসনিক স্তরে একধাপ এগোল।
রাজ্যপাল দুটি পৃথক পুরসভা গঠনের আবেদনে সিলমোহর দিয়েছেন। বুধবার রাজ্য সরকারের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি এই মর্মে একটি নোটিফিকেশন জারি করেছেন। নবান্ন থেকে নোটিফিকেশন জারির কথা জানাজানি হতেই দুই শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে রীতিমতো খুশীর হাওয়া।
জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা ভেঙ্গে ভাগিরথীর দুই পাড়ে দুই পুরসভা গঠন হলে দুই শহরের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। সেক্ষেত্রে পুরসভা পরিষেবার জন্য নদী পারাপারের ঝুঁকি থেকে রেহাই মিলবে এবং নিজেদের শহরেই পুর পরিষেবা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: বিরল অস্ত্রোপচারে সাফল্য, যমজ সন্তানের প্রাণ বাঁচালেন চিকিৎসকরা
ভাগীরথীর পূর্বপাড়ের জিয়াগঞ্জ এবং পশ্চিমপাড়ের আজিমগঞ্জ শহরকে কেন্দ্র করে ১৮৯৬ সালে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। শতাধিক বছর অটুট বন্ধনে আবদ্ধ থাকার পর গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দুই শহরের বাসিন্দারা পৃথক দুটি পুরসভা গঠনের দাবিতে সরব হন। তৃণমূল পুরসভার ক্ষমতা দখলের পরেই এই বিষয়ে তৎপরতা শুরু হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠিচাপাটি শুরু হয়। পূর্বতন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী এই বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রাজ্যপালের সিলমোহর পড়তেই প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নোটিফিকেশন জারি করেন।
প্রসঙ্গত, পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে জিয়াগঞ্জ শহরে ১৩টি এবং আজিমগঞ্জ শহরে ৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। জিয়াগঞ্জ শহরের ১৩টি ওয়ার্ড এবং বাহাদুর পঞ্চায়েত নিয়ে জিয়াগঞ্জ পুরসভা এবং আজিমগঞ্জ শহরের ৪টি ওয়ার্ড এবং মুকুন্দবাগ পঞ্চায়েতকে নিয়ে আজিমগঞ্জ পুরসভা গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। সূত্রের খবর, জিয়াগঞ্জ পুরসভায় ২১-২২টি ওয়ার্ড এবং আজিমগঞ্জ পুরসভায় ১৫-১৬টি ওয়ার্ড গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জিয়াগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রাজেশ দাস বলেন, ”আজিমগঞ্জে পুরসভা থাকায় যে কোনও কাজের নদী পেরিয়ে ওপারে যেতে হয়। বর্ষাকালে প্রাণ হাতে নিয়ে যাতাযাত করতে হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি হয়। আলাদা পুরসভা হলে নিজের শহরেই পরিষেবা পাওয়া যাবে।”
আরও পড়ুন: শিবলিঙ্গ নিয়ে পালটা অবমাননাকর মন্তব্য, ত্বহা সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের
পুরসভার চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ”ডাহাপাড়া ধাম, বড়নগরে রানি ভবানির চারবাংলা মন্দির সহ একাধিক দর্শনীয় স্থান মুকুন্দবাগ পঞ্চায়েতে রয়েছে। আলাদা পুরসভা হলে পর্যটন চাঙ্গা হবে। স্থানীয় কিছু ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে।”