বাংলার খবর
‘এই জয় প্রত্যাশিতই ছিল’, দাবি ঝালদার জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দুর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দখল নিজেদের কাছেই রাখল কংগ্রেস। উপনির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। নিহত কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু পেয়েছেন ৯৩০ ভোট। তৃণমূল প্রার্থী জগন্নাথ রজক পেয়েছেন ১৫২ ভোট। তৃণমূল প্রার্থীকে মিঠুন হারিয়েছেন ৭৭৮ ভোটে।
এদিকে এই জয়ের পর মিঠুন কান্দু বলেন, “জয় আগেই নিশ্চিত ছিল। এই জয় আমার কাকার জয়। এই জয় ওই ওয়ার্ডের মানুষের জয়। এই জয় প্রত্যাশিত ছিল”। যদিও ওই ওয়ার্ডের ফলাফল নিয়ে আগে থেকেই আশাবাদী ছিলেন মিঠুন। কারণ তিনি জানতেন যে এলাকাবাসী তাঁকে খালি হাতে ফেরাবেন না। আর তারই প্রতিফলন হল ভোটবাক্সে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন হয়। এরপর ২ মার্চ সেখান থেকে ফল ঘোষণা হয়। সেই সময় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন তপন কান্দু। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় ওই ওয়ার্ডে ১২৭টি ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে হারান তপন কান্দু। কিন্তু, ১৩ মার্চ খুন করা হয় ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলরকে। এই ঘটনায় তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও ভাইপো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: GTA নির্বাচনে পাহাড়ে খাতা খুলল তৃণমূল, জয়ী বিনয় তামাং
এরই মধ্যে মিঠুন কান্দুকে প্রার্থী করা হয় কংগ্রেসের তরফে। এদিকে তখনও সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখেননি মিঠুন। যদিও বেশিরভাগ সময়তেই তাঁকে দেখা যেত তাঁর কাকার সঙ্গে। ভোটের প্রচারেও কাকার সঙ্গে দেখা যেত তাঁকে। যদিও পরিস্থিতি যে এভাবে বদলে যাবে সেটা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তিনি।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। মসনদে বসার আগেই চুরমার হয়ে যায় সব স্বপ্ন। এরপর দলের তরফে প্রার্থী করা হয় তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে। আর এবার তাঁর হাত ধরে ওই ওয়ার্ডে জয় ধরে রাখল কংগ্রেস। তবে কাকার থেকে অনেক বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি। ৭৭৮ ভোটে জয়ী হয়েছেন মিঠুন। যদিও এভাবে কখনও প্রার্থী হতে চাননি বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঝালদায় তৃণমূলকে হারিয়ে এগিয়ে কংগ্রেস, চন্দননগরে খাতা খুলল CPIM
ভোটে জিতে মিঠুন কান্দু বলেন, “কাকিমার চোখের জলের জয়। জয় প্রত্যাশিত ছিল, দাবি তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুর।” পাশাপাশি, “ঝালদা টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তর্ঘাতে হেরেছি”, অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থীর। মোট ১৫২টি ভোট পেয়েছেন তিনি। এটা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।