রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কল্যাণী, আনন্দে মাতলো রায়গঞ্জ
Connect with us

Uncategorized

রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কল্যাণী, আনন্দে মাতলো রায়গঞ্জ

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক কৃষ্ণ কল্যাণী। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সেখানেই কৃষ্ণ কল্যাণীর নাম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ঘোষণা করেন তিনি। নতুন এই দায়িত্ব পাওয়ায় দলে রায়গঞ্জের বিধায়কের গুরুত্ব আরও বাড়লো, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কৃষ্ণ কল্যাণী ছাড়াও রাজ্য সাধারণ সম্পাদকমণ্ডলীতে রয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, কুণাল ঘোষ, গৌতম দাস, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, শশী পাঁজা, জ্যোৎস্না মান্ডি, প্রতিমা মন্ডল, শওকত মোল্লা, অর্পিতা ঘোষ, সঞ্জয় বক্সী, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, বিবেক গুপ্তা, শান্তিরাম মাহাতো, মনোরঞ্জন ব্যাপারী।

গত বিধানসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হলেও গত বছরের শেষের দিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। রায়গঞ্জবাসীর বিপদে-আপদে সবসময় ছুটে গিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেন তিনি। যদিও বিধায়ক হওয়ার অনেক আগে থেকেই তিনি সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত। জেলার গরীব-দুঃস্থ মানুষদের মুখে খাবার তুলে দিতে তিনি চালু করেছেন ‘অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার’। বস্ত্রবিতরণ-সহ একাধিক সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে সর্বক্ষণ যুক্ত রয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও রায়গঞ্জের উন্নয়নে সব সময় সদর্থক ভূমিকা পালন করে চলেছেন। বিধায়ক হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে তিনি যথেষ্টই জনপ্রিয়। তাই বিপদে-আপদে সব সময় পাশে থাকা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হওয়ায় খুশি রায়গঞ্জবাসী।

Advertisement

এই ঘোষণার পরই রায়গঞ্জে বিধায়কের কার্যালয়ের সামনে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা আনন্দে মেতে উঠেন। রীতিমতো শুরু হয়ে যায় সেলিব্রেশন। কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি পথ চলতি সাধারণ মানুষের মধ্যেও খুশিতে বিতরণ করা হয় মিষ্টি। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রায়গঞ্জের জনপ্রিয় এবং সবার হৃদয়ের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীকে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত করায় আমরা সকল রায়গঞ্জবাসী গর্বিত। তাই আমরা সবাইকে মিষ্টিমুখ করালাম। আগামী দিনে আমাদের প্রিয় দাদাকে আরও বড় জায়গায় দিদি নিয়ে যান, সেই আশাই আমরা রাখি। আজকের দিনটা আমাদের কাছে খুবই আনন্দের এবং গর্বের।’