গৌতম বুদ্ধের মতবাদ নিয়ে গবেষণা, DLITT পেলেন লক্ষণ শেঠ
Connect with us

বাংলার খবর

গৌতম বুদ্ধের মতবাদ নিয়ে গবেষণা, DLITT পেলেন লক্ষণ শেঠ

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ডিলিট সম্মানে ভূষিত হলেন লক্ষ্মণ শেঠ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন প্রাক্তন এই CPIM সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ৷ ৷ 

সুদূর কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই ডিলিট সম্মান দেওয়া হল লক্ষ্মণ শেঠকে।
দেশের ইতিহাসে এটাই সম্ভবত প্রথম বলে দাবি কর্ণাটকের টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের৷
ভগবান বুদ্ধের মতবাদ নিয়ে গবেষণা করার জন্য তাঁর এই সম্মান প্রাপ্তি হল৷

একসময় গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দাপুটে নেতা বলে পরিচিত লক্ষ্মণ শেঠের মুকুটে যুক্ত হল নতুন এক পালক। সত্তরোর্ধ্ব লক্ষ্মণ শেঠের এই ডিলিট প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়৷ তবে সাম্মানিক ডিলিট নয়, গবেষণার জন্য এই সম্মান পেয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ চন্দ্র শেঠ৷

Advertisement

শনিবার ২৮ মে হলদিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা HIT র সত্যেন্দ্রনাথ বোস প্রেক্ষাগৃহে কর্ণাটক সরকারের অধীন টুমুকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লক্ষ্মণ শেঠকে এই ডিলিট প্রদান করা হয়৷ তাঁকে হলদিয়ায় এসে ডিলিট প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ এই অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার (মূল্যায়ন) ডঃ নির্মল রাজু ৷

আরও পড়ুন: ২ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় এফআইআর কিন্তু কেন

তিনি বলেন, “শুধু ডিলিট নয়, লক্ষ্মণ চন্দ্র শেঠের ৭০ বছর বয়সে Phd ডিগ্রি অর্জন করাটাও একটি বিরলতম উদাহরণ। যদিও Phd র থেকেও ডিলিট পাওয়াটা আরও কঠিনতম কাজ। ডিলিটের জন্য রেজিস্ট্রেশন থেকে ডিলিট প্রাপ্তি অবধি পাঁচটি কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন প্রক্রিয়াটি হল, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আরও একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপকরা ওই বিষয়ের ওপর আবেদনকারীর তৈরি করা থিসিস বা গবেষণাপত্রটি খতিয়ে দেখেন। তারপর তাঁরা সরাসরি সাক্ষাৎকার নেন আবেদনকারীর। তাঁরা সন্তুষ্ট হওয়ার পরই আবেদনকারীকে ডিলিট প্রদান করা হয়।’’

Advertisement

এক্ষেত্রে টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেও, কর্ণাটক বিশ্ববিদ্যালয়, কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়, বেঙ্গালুরু বিশ্ববিদ্যালয়, গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা সেই মূল্যায়নের কাজটি করেছিলেন বলেও জানান ডঃ নির্মল রাজু ৷

উল্লেখ্য, লক্ষণ চন্দ্র শেঠ ২০১৯ সালে কর্ণাটক সরকারের মহিশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘গান্ধীজির গণতন্ত্র ভাবনা ও বর্তমানে তার প্রাসঙ্গিকতা’ বিষয়ে Phd অর্জন করেন৷ এরপর ওই বছরই টুমকুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিলিটের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন। চলতি বছরের ১০ মে লক্ষ্মণ শেঠকে ডিলিট প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: পানশালায় মধুচক্রের আসর, পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার ১০

Advertisement

লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, ‘‘২০১৪ সালে আমার প্রাক্তন রাজনৈতিক দল CPIM থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর থেকেই নতুন করে ইতিহাস চর্চা শুরু করার কথা ভাবতে আরম্ভ করেছিলাম। ছাত্র জীবনে ইতিহাস আমার পাঠ্য বিষয় ছিল৷ তাই ইতিহাসের বিষয়কেই বেছে নিয়েছিলাম। গান্ধীজির ওপর Phd করার পর আমি ডিলিট করার জন্য বেছে নিয়েছিলাম গৌতম বুদ্ধের জীবনকে। এরই মধ্যে আমি কোভিডে আক্রান্ত হই৷ এখনও আমি করোনা উত্তর সমস্যায় চিকিৎসাধীন৷ কিন্তু তারই মধ্যে আমি এটা সম্পূর্ণ করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।’’

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.