বাংলার খবর
২ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় এফআইআর কিন্তু কেন
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রীতিমতো সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে নিজাম প্যালেসে ডেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এবার বিজেপির ২ সাংসদ-সহ আটজনের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকার সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে কল্যাণী এইমস-এ চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই কল্যাণী থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে গোটা বিষয়টি তদন্ত করতে নামছে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। বৃহস্পতিবার সকালেই কল্যাণী থানায় যান সিআইডি-র আধিকারিকরা। বিজেপির দুই সাংসদ-সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-এর কপি সহ অন্যান্য নথি সিআইডি-এর গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছে কল্যাণী থানার পুুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ার সাংসদ ডঃ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ঘনিষ্ঠদের বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে সরব হয়েছিল বাম ও তৃণমূল। তিনি বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার কন্যা মৈত্রী দানাকে কল্যাণী এইমস-এর নার্সিং কলেজে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কোনও পরীক্ষা ছাড়াই শুধুমাত্র সুপারিশের জোরে মৈত্রী দানা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা।
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরের অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনিভাবে স্কুলশিক্ষিকার চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি তাঁকে ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে আগামী ৭ জুন ও ৭ জুলাই হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অঙ্কিতাকে বরখাস্ত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যেই এবার রাজ্যে বিজেপি সাংসদদের বিরুদ্ধেও বেআইনি ভাবে প্রভাব খাটিয়ে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বিষয়টিকে রাজ্য যে হালকাভাবে নিচ্ছে না, তা সিআইডি তদন্তেই প্রমাণিত। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরেশ অধিকারীদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের পাল্টা হিসেবেই এবার বিজেপির দুই সাংসদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত।