বাংলার খবর
রাষ্ট্রপতির দৌড়ে দ্রৌপদী মুর্মু, খুশির হাওয়া আদিবাসী মহলে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে দ্রৌপদী মুর্মু, খুশির হাওয়া বাঁকুড়া আদিবাসী মহলে। ভারতবর্ষে এই প্রথম আদিবাসী সমাজ থেকে কেউ ভারতের রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ইতিমধ্যেই এনডিএ সরকার রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন দ্রৌপদী মুর্মুর নাম। তার এই নাম ঘোষণা হতেই খুশি বাঁকুড়া জেলার আদিবাসী সমাজের মানুষরা। কিন্তু কে এই দ্রৌপদী মুর্মু তাকে নিয়ে কেন এত চর্চা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে। ১৯৫৮ সালের ২০ জুন দ্রৌপদীর জন্ম হয় ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে। বাবার নাম নারায়ন টুডু। সাঁওতালি পরিবারে দ্রৌপদীর জন্ম হয়। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় অত্যন্ত ভাল ছিলেন দ্রোপদী মুর্মু। রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন এখন তিনি।
বাংলার প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয় তার। ওড়িশার কাউন্সিলর হয়ে প্রথম রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। ওড়িশায় ভারতীয় জনতা পার্টির এবং বিজু জনতা দলের জোট সরকারের সময় দ্রৌপদী মুর্মু মন্ত্রী ছিলেন। বাণিজ্য ও পরিবহন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। পরে ঝড়খন্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করেছিলেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মু ভারতের দ্বিতীয় মহিলা রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। বিজেপি সূত্রে খব , প্রায় ২০০ টি নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে। শেষ পর্যন্ত দ্রৌপদীর নামেই সিলমোহর দেন মোদি শাহ।
আদিবাসী সমাজ থেকে একজন ভারতের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছে রীতিমতো খুশির হাওয়া বাঁকুড়া জেলার আদিবাসী সমাজের মানুষদের মধ্যে। এদিকে করণ মূর্মু, গণেশ হেমরমরা জানান, আদিবাসী সমাজের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় নরেন্দ্র মোদিকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রথমবার আদিবাসী সমাজ থেকে কেউ রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়।