দেশের খবর
তৃতীয়বার করোনা আক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয়! তাঁর বাবা, স্ত্রী ও কর্মচারীরাও পজেটিভ

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের রাজনৈতিক মহলেও থাবা বসাচ্ছে করোনা। আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা পুরসভার চার নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান সাধনা বসু সহ কলকাতা পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি, পুর কমিশনার এবং মেয়রের দফতরের এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর।
করোনা পজেটিভ হয়ে নিভৃতাবাসে রয়েছেন বিধায়ক তাপস রায়। গত শনিবারই করোনা আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এবার সপরিবারে করোনা আক্রান্ত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমানে তৃণমূলের নেতা বাবুল সুপ্রিয়। পজেটিভ এসেছেন বাবুলের বাবা সুনীলচন্দ্র বড়াল, স্ত্রী রচনা এবং তাঁর কর্মচারীরাও। এই নিয়ে বাবুল তৃতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলেন। এবং তাঁর স্ত্রী ও বাবা দ্বিতীয়বার পজেটিভ এসেছেন। ২০২০ সালের নভেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বাবুল ও তাঁর বাবা-মা। সেবার তার বাবা-মাকে গুরগাওয়ের এক হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল।
৯ ডিসেম্বর তাঁর মা প্রয়াত হন। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দ্বিতীয়বারের জন্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলিউডের এই প্রখ্যাত গায়ক। সেবার তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হন। সেই কারণে আসানসোলে ভোট দিতে যেতেও পারেননি তিনি। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আবারও তিনি সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে মঙ্গলবার টুইট করে এই কথা জানাতে গিয়ে ৮৪ বছরের বৃদ্ধ বাবাকে নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাবুল। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি, আমার স্ত্রী, বাবা এবং একাধিক কর্মচারী- সকলেই করোনা আক্রান্ত হয়েছি।
কিন্তু আমাকে সব থেকে বেশি যে বিষয়টা ভাবাচ্ছে, তা হল, কোভিডে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থদের ককটেল টিকা দেওয়া প্রয়োজন। এই ককটেল টিকার বিপুল দাম। ৬১ হাজার টাকা। আমার বাবার ৮৪ বছর বয়স। তাঁর জন্য এই ককটেল টিকা প্রয়োজন। আমাকে কিনতেই হবে। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো কী ভাবে তা কিনবেন?’ তারপরই বাবুল তাঁদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা টুইট করে জানিয়েছেন। বাবুল লিখেছেন, ‘আমি তৃতীয় বার কোভিড আক্রান্ত হলাম। ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রথমবার আক্রান্ত হয়ে ছিলাম যখন, মাকে হারিয়েছিলাম। কিন্তু বাবাকে কোনও ভাবে বাঁচিয়ে এনেছিলাম। তারপর আবার ২০২১ সালের এপ্রিলে। এবার পজেটিভ আসায় খুব একটা উদ্বিগ্ন নই। কিন্তু যেভাবে বিশাল সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এবং কে কার থেকে সংক্রমিত হচ্ছেন, তা সনাক্ত করা যাচ্ছে না বলেই চিন্তা বাড়ছে। খুব কম সংখ্যক মানুষই মাস্ক পরছেন।’