দেশের খবর
শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ! বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর থেকেই রাজ্যে শক্তিক্ষয় অব্যাহত রয়েছে বিজেপির। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটের জিতেও ইতিমধ্যেই সাত বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। প্রতিদিনই রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপির নেতা-কর্মীরা পদ্ম ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন শাসকদলে।
ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া হেভিওয়েট নেতা ও কর্মীরাও ফিরছেন পুরনো দলে। হাতছাড়া হচ্ছে একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত। রাজ্য বিজেপির অন্দরেও লেগেছে জোর কোন্দল। নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই শীর্ষ নেতৃত্বের ওপর বিরক্তি প্রকাশ করে দলের একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন সায়ন্তন বসু সহ অনেকেই। এবার রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের ওপর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সোমবারই তিনি বিজেপির সমস্ত গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তারপরই রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গ বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের কাছে শান্তনু ঠাকুর বা মতুয়া সমাজের ভোট নিষ্প্রয়োজন।
তাই আমারও ওই সব গ্রুপে থাকার দরকার নেই। সময়মতো সব জবাব দেব।’ তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। শোনা যাচ্ছে দলের আরও ৫ বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে আজ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসতে চলেছেন শান্তনু ঠাকুর। যা নিয়ে, ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এই পাঁচ বিধায়ক হলেন, সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া, অসীম সরকার, অম্বিকা রায় এবং মুকুটমণি অধিকারী।
তাঁরাও আগেই দলের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আজকের এই বৈঠকে তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কী সিদ্ধান্ত! তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যের নতুন সম্পাদকমন্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি না থাকাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন শান্তনু। এই ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও দেখা করে সময়সীমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁর দাবি মানা হয়নি বলেই ক্ষুব্ধ শান্তনু ঠাকুর।