চুরির ঘটনায় পড়াশোনা লাটে ওঠার উপক্রম সরকারি স্কুলে
Connect with us

বাংলার খবর

চুরির ঘটনায় পড়াশোনা লাটে ওঠার উপক্রম সরকারি স্কুলে

Parama Majumder

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নিত্যদিন চুরির ঘটনা লেগেই আছে স্কুলে। চুরির হাত থেকে স্কুলের সম্পত্তি বাঁচাতে নাজেহাল অবস্থা স্কুল কর্তৃপক্ষের।

উত্তর মৌরি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে পরিস্থিতি এমনই স্কুল বন্ধ করার পরে মিড ডে মিলের চাল থেকে শুরু করে রান্নার সরঞ্জাম সবই রাখতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়িতে। কারণ ভয় স্কুলের মধ্যে রাখলে তা চুরি হয়ে যাবে। এভাবেই দীর্ঘ দশ বছর ধরে একই পরিস্থিতি।

এই দশ বছরে স্কুলের পাখা থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের চাল, ডাল, ছাত্রদের বই খাতা এমনকি ছাত্রদের জন্য বরাদ্দ স্কুলের পোশাক, জুতো অব্দি চুরি গেছে। এভাবে চুরি হওয়াতে পঠন পাঠন উঠতে বসেছে স্কুলে। স্থানীয় থানা থেকে প্রশাসনিক স্তরে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েও বন্ধ করা যায় নি চুরির ঘটনা। চোর ধরা তো দুরহস্ত। এভাবে চলতে থাকলে চোর ধরতে স্কুলের পড়াশোনা উঠে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে স্কুলে এমনটাই আশঙ্কা করছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে ছাত্রদের অভিভাবকেরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রেমে প্রত্যাখ্যান! মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে গেল যুবক

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মালতি রায় অভিযোগ করেন নিত্যদিন চুরির ঘটনায় পড়াশোনা উঠে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে তাদের। চুরি বন্ধ করার জন্য এখন তারা মিড ডে মিলের রান্নার সরঞ্জাম স্থানীয় লোকেদের বাড়িতে রাখেন। প্রতিদিনের যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই তারা রোজ নিয়ে আসেন। স্কুলের মধ্যে আর তারা খাদ্য সামগ্রী মজুত রাখেন না। দশ বছর ধরে চুরি হলেও প্রশাসনের সর্বস্তরে জানিয়েও কোনো সুরাহা পান নি তারা। তারা চান অবিলম্বে চোর ধরার ব্যবস্থা করুক পুলিশ প্রশাসন। আর পাশাপাশি স্কুলে গার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করুক প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ প্রতিম পাল একই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন আশি বছর এই স্কুলের বয়স। তিনি স্কুলের জন্য একটি কম্পিউটার দিয়েছিলেন। তবে সেই কম্পিউটার চুরি যাওয়ার ভয়ে আবার বাড়ি নিয়ে এসেছেন। চোর ধরার কোনো সাহায্য তারা পাননি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। খুবই অসুবিধার মধ্যে রয়েছে স্কুলের শিক্ষক থেকে দুশো জনের অধিক ছাত্ররা। তিনি আরো বলেন প্রধান শিক্ষিকা স্কুল চালাবেন না প্রশাসনিক কর্তাদের পেছনে চোর ধরতে ছুটে বেরাবেন। তারা চান অবিলম্বে চোর ধরার ব্যবস্থা করুক পুলিশ। স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।

Advertisement

আরও পড়ুন: শাস্ত্রীভবনের বহুতল থেকে মরণঝাঁপ বিজ্ঞানীর

 মহিয়ারি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সুব্রত বাগ দাবি করেন স্কুলের এলাকাটি ডোমজুড় ও জগাছা থানার মিলন স্থলে পড়ে। তাই বিষয়টি দুটি থানাকে আগেও জানান হয়েছে ও ব্লকের বিডিও কেও জানান হয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। যদিও থানার পক্ষ থেকে কয়েকদিনের জন্য প্রহরার ব্যবস্থা করলেও পড়ে তা তুলে নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন মানুষকে সচেতন করার কথা। পাশাপাশি প্রশাসন যদি তৎপরতা না দেখায় তাহলে চোর গুন্ডা ঠেকানোর কাজ যদি সাধারণ মানুষকেই করতে হয় তাহলে সেটাই তারা এবার করবেন বলে জানান।

Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.