বাংলার খবর
মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে ডুয়ার্স থেকে হেঁটে কালীঘাটে আসছেন বিন্নাগুড়িরর শঙ্কর!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনমুখী প্রকল্পের জেরে উপকৃত হচ্ছেন আপামর রাজ্যবাসী। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের আন্দোলনের প্রতিবাদ। এরই জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি থেকে পায়ে হেঁটে কোলকাতায় কালীঘাটের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন বিন্নাগুড়ির বাসিন্দা শঙ্কর ভট্টাচার্য্য।
পেশায় মুদিখানা দোকানের মালিক শঙ্কর গত ১৫ জুন বাড়ি থেকে কলকাতার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছেন। তাঁর আশা জুলাইয়ের ১০-১৫ তারিখের মধ্যে তিনি কালীঘাটে পৌঁছে যাবেন। সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করার ইচ্ছে রয়েছে শঙ্করবাবুর। পাশাপাশি চলার পথে রাজ্য সরকার গৃহীত নানা প্রকল্প সম্পর্কেও জনসাধারণকে অবহিত করে চলেছেন তিনি।
তাঁর এই দীর্ঘ যাত্রাপথে রবিবার তিনি এসে পৌঁছান উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। এদিন রায়গঞ্জ শহরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৌশিক দে-সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি তাঁর বার্তা যাতে সকলের কাছে পৌঁছয়, সেজন্য তাঁকে শুভকামনাও জানান তৃণমূল নেতৃত্ব।
পদযাত্রী শঙ্করবাবু কালীঘাটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ করে তাঁর হাতে ডুয়ার্সের মাটি তুলে দেবেন বলে জানিয়েছেন।রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেরও ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবিতে যে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আন্দোলন, তারও প্রতিবাদ জানাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শঙ্কর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘গত ১১ বছর ধরে সারা রাজ্যের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছেন। তাতে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। ডুয়ার্স-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে অনেক উন্নয়ন হচ্ছে। আগে ডুয়ার্সে চা বাগান গুলো বন্ধ ছিল। সেখানে জয় জোহার প্রকল্প, চা সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হচ্ছে। এই প্রকল্প গুলো মানুষ চোখে দেখতে পাচ্ছে। সেই কারণেই আমি পায়ে হেঁটে কালীঘাটে যাচ্ছি দিদিকে ধন্যবাদ জানানোর জন্যে।’