দেশের খবর
উদয়পুরে মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির প্রতিশ্রুতি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: নৃশংস ভাবে গলা কেটে এক দর্জিকে খুন করার ঘটনায় উদয়পুর-সহ গোটা রাজস্থান উত্তপ্ত। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উদয়পুর-সহ একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এর মধ্যেই খুন হওয়া দর্জি কানহাইয়া লালের বাড়িতে গিয়ে বৃহস্পতিবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। বৃহস্পতিবার দুপুরে উদয়পুরে কানহাইয়া লালের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে মৃতের পরিবারের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫১ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ চেকও তুলে দেন তিনি। এদিকে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে উদয়পুরে মিছিল করেন কয়েকশো মানুষ।
মঙ্গলবার উদয়পুরে এই ঘটনা ঘটার পরই দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করার পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন অশোক গেহলট। এবং এই ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে যে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে তাও কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন তিনি। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তভার দুর্নীতি দমন শাখা এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হাতে তুলে দিয়েছে রাজস্থান সরকার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে উদয়পুরে অতিরিক্ত ৬০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর অশোক গেহলট। এই খুনের ঘটনাকে ওই বৈঠকের সকলেই সন্ত্রাসবাদী হামলা বলে মেনে নিয়েছে। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গেও একাধিক বৈঠক করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশেষ বিমানে উদয়পুরে আসেন অশোক গেহলট। বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি চলে যান কানহাইয়া লালের বাড়িতে। সেখানে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায় আধঘণ্টা কথা বলেন তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে উদয়পুরের স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি।
গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি কানহাইয়া লালের পরিবার। কানহাইয়ার ছেলে যশ জানিয়েছেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকেদের আর্থিক সাহায্য করেছেন। এবং আমাকে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছেন। আমরাও তাঁকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
অপরদিকে, কানহাইয়া লালকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত গোস মহম্মদ এবং রিয়াজ আখতারকে জেরা শুরু করেছে এনআইএ আধিকারিকরা। এই ঘটনার তদন্তের জন্য ৬ থেকে ১০ সদস্যের দল গঠন করা হয়েছে। তদন্তে নজরদারি করছেন একজন আইজি এবং একজন ডিআইজি পদমর্যাদার আধিকারিক। ধৃতদের জয়পুরেই বিশেষ এনআইএ আদালতে পেশ করা হবে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানেই জেরা করা হবে ধৃতদের। এখনই তাদের দিল্লিতে নিয়ে আসা হচ্ছে না।
ঘটনার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও যথেষ্ট থমথমে উদয়পুর। এখনও এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবাও এখনও বন্ধ রাখা হয়েছে।