দেশের খবর
কলকাতা থেকে সমুদ্র শহর, রথযাত্রা উৎসবে মাতল দেশবাসী
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে রথযাত্রা উৎসব। মাহেশ থেকে শুরু করে কলকাতার ইস্কন, পুরীর মন্দির রীতি মেনে জগন্নাথ দেবের আরাধনায় মগ্ন গোটা দেশবাসী। করোনা আবহে গত দুই বছর ভক্ত সমাগমের মাধ্যমে রথযাত্রা পালন করা সম্ভব হয়নি রথযাত্রা। তবে এবছর করোনা বিধি মেনে রথযাত্রা পালিত হচ্ছে পুরী, আমদাবাদ, মাহেশ, কলকাতায়। যদিও দেশে ফের একবার করোনার বাড়বাড়ন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই আবহে করোনা বিধি মেনেই এবার পালন করা হচ্ছে রথযাত্রা।
রথের রশিতে টান পড়ার আগে দেশবাসীকে টুইটে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আহমেদাবাদে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশবাসীকে রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি কামনা করেন তিনি। অন্যদিকে, শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Jai Jagannath! Greetings on the auspicious occasion of Ratha Yatra, the mighty move of the Lord, embracing all castes and creeds. May He bless us all.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 1, 2022
"Greetings on the special day of #RathYatra. We pray to Lord Jagannath for his constant blessings. May we all be blessed with good health and happiness..," tweets PM Narendra Modi.
(File photo) pic.twitter.com/c2flAitZeS
— ANI (@ANI) July 1, 2022
#WATCH Ahmedabad, Gujarat | Union Home Minister Amit Shah performs 'Mangal Aarti' at Shree Jagannathji Mandir ahead of the 145th Lord Jagannath Rath Yatra which commences from today pic.twitter.com/brwjXjOqBo
— ANI (@ANI) June 30, 2022
শোভাযাত্রা করে বলরাম, সুভদ্রা ও জগন্নাথদেবের বিগ্রহকে মন্দিরের বাইরে এনে স্থাপন করা হল আলাদা আলাদা রথে। শোভাযাত্রার এই রীতিকে বলা হয় পোহন্ডি। পোহন্ডিবিজয়ের পর পুরীর রাজা সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করেন। এই রীতিকে বলা হয় ছেড়াপহরা। এরপর গড়াবে রথের চাকা। জগন্নাথদেবের রথের নাম নন্দীঘোষ, বলরামের রথ তালধ্বজ এবং সুভদ্রার রথ হল দর্পদলন৷ ২ বছর কোভিড বিধির পর এবার ভক্ত সমাগমের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্দির চত্বরে ঢল নেমেছে ভক্তদের। মন্দির চত্বরে ওড়িশি নৃত্য থেকে ঢাক, কাঁসর, ঘণ্টার বাদন।
কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমন দাস জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাজ্য, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া ও সিঙ্গাপুর থেকে ভক্তরা ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। এমনকী আফ্রিকার বেশকিছু দেশ থেকেও অসংখ্য ভক্ত এসেছে।’মায়াপুর যা ইসকনের গ্লোবাল হেডকোয়ার্টার্স সেখানেও রথযাত্রার দিনে অন্তত দেড় লক্ষ মানুষের ভিড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। শ্রীরামপুরের মাহেশেও এবার লাখ খানেকের বেশি ভক্তের সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে।