বাংলার খবর
কেএলও জঙ্গি গ্রেফতার হতেই কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি জানাতে হুমকি ভিডিও
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে এবং হুমকি দিয়ে নিজেকে কেএলও জঙ্গি বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন এক যুবক। সেই ভিডিও সামনে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। সেই ভিডিওতে অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ের এক যুবক অস্ত্র হাতে নিজেকে প্রকাশ বর্মন পরিচয় দিয়ে কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকার যদি কোচবিহারকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি না দেয় তাহলে তার পরিণতি ভয়ংকর হবে বলেও ভিডিওতে হুমকি দিয়েছেন ওই যুবক। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গল এক্সপ্রেস।
অপরদিকে, অসম থেকে নেপালে যাওয়ার পথে শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি এলাকা থেকে সোমবার রাতে এক কেএলও জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃত ওই যুবকের নাম ধনকুমার বর্মন ওরফে স্বপন। জানা গিয়েছে, তাঁর বাড়ি কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত বাঁশবাজারের চৌপতি এলাকায়। তুফানগঞ্জ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ধনকুমার ২০২০ সালে পড়াশোনা ছেড়ে কেপিপিতে যোগ দেন। সেখান থেকে কেএলও জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে নাগাল্যান্ডে চলে গিয়েছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে অসমের শিমুলবাড়ি এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন।
সম্প্রতি কেএলও চিফ জীবন সিংহের নির্দেশে তিনি নেপালে যাচ্ছিলেন প্রশিক্ষণের জন্য নতুন সদস্য জোগাড় করতে। নেপালের ভদ্রপুর লাগোয়া খড়িবাড়ির দেবীগঞ্জ এলাকায় তিনি ডেরা বেঁধেছিলেন। সেখান থেকেই সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। ধনকুমার গ্রেফতার হওয়ার পরই, প্রকাশ বর্মন নামে ওই কেএলও জঙ্গি হুমকি ভিডিওটি পোস্ট করেন। একটা সময়ে ধনকুমারের বাবা সুকুমার বর্মনও কেএলও-এর লিঙ্কম্যানের কাজ করতেন। তিনি গ্রেফতারও হন এবং জেল খাটার পরে সুস্থ জীবনে ফিরে আসেন।
ধনকুমারের গ্রেফতারের খবর জানাজানি হতেই তাঁর পরিবার এবং এলাকার মানুষ হতবাক হয়ে পড়েছেন। তাঁদের মতে ওই যুবক খুবই ভালো ছিল। কীভাবে সে এই ধরণের জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ল, তাতে তারা অবাক। তাই তাঁরা চান ওই যুবক জীবনের মূল স্রোতে ফিরে আসুক। ধনকুমারের বাবা সুকুমার বর্মন জানিয়েছেন তাঁর মতো ছেলেও সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুক। তিনি বলেছেন, ‘ছেলে গত দু’মাস ধরে নিখোঁজ ছিল। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ করেছিলাম। তবে ছেলে যে এ ভাবে এই ধরণের সংগঠনের খপ্পরে পড়ে গিয়েছে সেটা জানা ছিল না। তবে প্রশাসনের সহযোগিতায় ছেলে সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসুক, সেটাই চাই।’