বাংলার খবর
১০০ দিনের কাজ, বিশেষ কমিটি ও ফান্ড তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গত চার মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা রাজ্যকে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। গত সপ্তাহেই টাউনহলে ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের বার্ষিক সাধারণ সভায় এই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ রাজ্যের প্রাপ্য টাকা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার একই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এদিন শুধু অভিযোগ করেই থেমে থাকেননি তিনি। শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা যাতে আটকে না থাকে, তার জন্য মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে পূর্ত, সেচ সহ চার দফতরকে নিয়ে একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সমস্ত দফতররগুলো সারাবছর যে কাজ করে সেই কাজেই ১০০ দিনের শ্রমিকদের যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং ওই তহবিল থেকে শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার মেদিনীপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘চার মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের লোকেরা মজুরি পাচ্ছেন না। ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আমাদের এখান থেকে টাকা তুলে নিয়ে যায়। তার থেকে একটা প্রাপ্য আমরা পাই। সেই টাকাটা দেওয়া হয়নি। গরীব লোকের ১০০ দিনের কাজ করে টাকা বাড়িতে নিয়ে যায়। তাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। ওরা কবে টাকা দেবে, কখন দেবে আমরা জানি না। এই নিয়ে আমি একটা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছি। ১০০ দিনের কাজের আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই আইন মানা হচ্ছে না।’
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটা কমিটি হোক। গরীব মানুষগুলোকে নতুন কাজ করানোর আগে, নতুন কাজ আমি সেখানেই করাব, যেখানে ওরা টাকা না দিলেও যাতে শ্রমিকরা ভোগান্তির শিকার না হন। কেন্দ্র সব টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই নিয়ে ভবিষ্যতে আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে। পূর্ত দফতরের অধীনে সারা বছর ধরেই অনেক কাজ হয়। সেচ দফতরও প্রতিবছর কাজ করে চলেছে। এগুলোকে এক জায়গায় করে, তাদের যে শ্রমিকের টাকা, সেই টাকার একটা অংশ নিয়ে একটা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ফান্ড তৈরি করতে বলছি। তাহলে সেই ফান্ড থেকে অন্তত আমরা গরীব মানুষদের ১০০ দিনের কাজের টাকাটা দিতে পারব। তা না হলে ওরা কাজ করবে, কিন্তু টাকা পাবে না। যতক্ষণ না কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে, ততক্ষণ এই চার দফতরের মধ্যে আমরা সীমাবদ্ধ করব। যাতে তারা টাকাটা দিতে পারে এবং তাদের কাজ গুলো তারা ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের দিয়ে করায়।’