বাংলার খবর
হরিদেবপুরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ছাত্রের মৃত্যু, সিইএসসি-কর্পোরেশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সেলিমের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কলকাতার হরিদেবপুরে রবিবার বৃষ্টির জমা জলে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হাত দিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক স্কুল ছাত্রের। সেই নিয়েও শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই ঘটনায় সিইএসসি, কলকাতা কর্পোরেশন এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
সোমবার বীরভূমের সিউড়িতে একটি দলীয় অনুষ্ঠান বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেলিম বলেছেন, ‘আমাদের সময় বৈদ্যুতিক তারগুলো সব আন্ডারগ্রাউন্ড ছিল। এখন দেখছি সব জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। যখনই বৃষ্টি হয়, তখনই এরকম ঘটনা ঘটে। এইসব ঘটনা ভালো করে দেখার দরকার বৈদ্যুতিক সংস্থাগুলির। কিন্তু সিইএসসি বলছে বৈদ্যুতিক খুঁটি তাদের নয়। এখন যখনই এরকম ঘটনা ঘটে তখনই সিইএসসি বলছে আমাদের নয়, পুরসভা বলছে আমাদের নয়। সে কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য সরকার যাই হোক। একটি ছাত্র মারা গিয়েছে, এটা সত্য। এই ধরণের ঘটনা কেন বারবার ঘটছে, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।’
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে পূজার প্রসাদ নিয়ে আসার সময় হরিদেবপুরের হাফিজ মহম্মদ ইসাক রোডে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে হাত দেওয়ায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যায় বছর বারোর ছাত্র নীতীশ যাদব। স্থানীয় ব্রজমোহন স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত নীতীশ। বাবা শিবনারায়ণ যাদব গাড়িচালক। নীতিশ ছিল একমাত্র সন্তান।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তার জমা জলে টাল সামলাতে না পেরে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি ধরে ফলে ওই ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জমা জলের মধ্যেই ছিটকে পড়ল নীতীশ। স্থানীয় বাসিন্দারাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় তাকে তুলে আনতে যেতে পারেননি। তারাই 100 ডায়াল করে পুলিশ এবং সিইএসসি-তে খবর দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা জমা জলের মধ্যে পড়ে থাকার পর সিইএসসি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। পুলিশ ওই বালককে প্রথমে এমআর বাঙুর ও পরে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
অপরদিকে, শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার থেকে আন্দোলনে নামা নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মহম্মদ সেলিম। সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘তৃণমূলের চোররা বলছে বিজেপির চোরকে ধরো এবং বিজেপির চোররা বলছে তৃণমূলের চোরকে ধরো। সব মিলিয়ে দুজনে মিলেই বিধানসভায় গুঁতোগুঁতি করছে।’