দেশের খবর
ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে ‘খামোশ’ করে দেওয়ার আহ্বান জানালেন শত্রুঘ্ন সিনহা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: আসানসোলে লোকসভা উপনির্বাচনে রেকর্ড ভোটে জেতার পর এবার ত্রিপুরা উপনির্বাচনেও বিজেপিকে খামোশ করে দেওয়ার আহ্বান জানালেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আগামী ২৩ তারিখ, ত্রিপুরার বিধানসভার চার কেন্দ্রে উপ নির্বাচন রয়েছে। শেষদিনের প্রচারে জমজমাট হয়ে ওঠে আগরতলা। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার মতো তারকারা শেষ কয়েক ঘন্টায় তৃণমূলের প্রচারে ঝড় তুললেন।
মঙ্গলবার আগরতলায় সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, ‘কয়েক মাস আগেই আসানসোলের লোকসভা উপনির্বাচনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মানুষ। যেখানে তৃণমূল কোনদিন জেতেনি, সেখানে আমি এবার রেকর্ড পরিমাণ ভোটে জিতেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রকৃত জননেত্রী। গেম চেঞ্জার। বাংলার ভোটে তিনি সেটা প্রমান করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো হেভিওয়েট নেতারা বাংলায় এসে প্রচার করেছেন। তারপরও বিজেপিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে।’
এরপরই ত্রিপুরার উপনির্বাচন নিয়ে বলতে গিয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, ‘এই উপনির্বাচন তো ট্রেলার। আসল সিনেমা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর প্রধান সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাবেন আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের সময়। অভিষেক আমার হয়েও আসানসোলে প্রচার করতে গিয়েছিলেন। তারপরই ইতিহাস তৈরি হয়েছে। প্রথমবার আসানসোলে জিতেছে তৃণমূল। আগেরবার ২ লক্ষ ভোটে জিতেছিল বিজেপি। তাই এবার আমাদের আসল লড়াইটা ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ভোটকে টপকে আমরা এবার তিন লাখেরও বেশি ভোটে জিতেছে। এবার ত্রিপুরাতে অভিষেক বারবার আসছে। তরুণ ও যুব নেতৃত্বদের নিয়ে দারুন কাজ করছে অভিষেক। এবার এখানেও ইতিহাস তৈরি হবে। কেন বিধানসভা ভোটের মাত্র ১০ মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন হল জানতে চাই? বিজেপিকে তা মানুষকে জানাতে হবে। সন্ত্রাস দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না।’
ত্রিপুরার বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রচার করতে এসেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। এদিন তাঁকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বলিউডের একদা সুপারস্টার। বলেছেন, ‘হেমন্ত বিশ্বশর্মা প্রধানমন্ত্রীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন। এইরকম একটা জুলুমবাজ লোককে নিয়ে আর কী বলব!’ এরপরই শত্রুঘ্ন সিনহা ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, ‘আমি তৃণমূল পরিবারের একজন সদস্য। তাই হৃদয় থেকে আপনাদের কাছে আবেদন করছি, আপনাদের রাজ্যে বিজেপি নামক যে দলটি বিভেদের রাজনীতি করছে, এবার তাদের বিরুদ্ধে লড়াই গড়ে তুলুন। ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ত্রিপুরা তার অঙ্গরাজ্য। বিজেপি এখানে ধর্মের নামে রাজনীতি করছে। এখানে কোনও উন্নয়ন হয়নি। ডবল ইঞ্জিন সরকারের নমুনা তো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সড়ক পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। খালি ধর্মের নামে রাজনীতি হচ্ছে। আর বাকি বিরোধীদের তো খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা দেশের মতো ত্রিপুরাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র তৃণমূল। তাই ভোট ভাগাভাগি করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া যাবে না। বিজেপিকে হারাতে তাই তৃণমূল প্রার্থীদের ভোট দিন।’