বাংলার খবর
অনলাইনে দেওয়া যাবে পুজো, মাহেশের রথে ভক্তদের জন্য একগুচ্ছ সুযোগ সুবিধা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: অনলাইনে দেওয়া যাবে পুজো। ভোগ মিলবে কুরিয়ারে। করোনা অতিমারি কাটিয়ে দু’বছর পর হবে মাহেশের রথযাত্রা।
করোনা অতিমারির জন্য গত দু’বছর বন্ধ ছিল মাহেশে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। এবার রথযাত্রা হবে মহা সমারোহে। বৃহস্পতিবার মাহেশে সাংবাদিক বৈঠক করে রথযাত্রার সময় নির্ঘন্ট জানিয়ে দেওয়া হয় মাহেশ জগন্নাথ ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে।
সূত্রের খবর, ৬২৬ বছরে পড়ল মাহেশের রথযাত্রা। সাধক ধ্রুবানন্দ ব্রহ্মচারী এই রথ যাত্রার সূচনা করেছিলেন। স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে গঙ্গায় ভেসে আসা নিম কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল জগন্নাথ দেবকে। সেই থেকেই চলে আসছে ঐতিহ্যবাহী মাহেশের এই রথ। বহু ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে এই রথযাত্রার সঙ্গে।
শ্রীচৈতন্যদেব রামকৃষ্ণ থেকে শুরু করে বহু মনীষীর আগমন ঘটেছে বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানী গল্প মাহেশের রথের মেলার উল্লেখ আছে। ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীন এই রথযাত্রা উৎসব পুরীর পরেই নাম আছে মাহেশের।
আরও পড়ুন: প্রবল বর্ষণে সেতুর উপর দিয়ে বইছে জল, প্রাণ হাতে যাতায়াত গ্রামবাসীদের
এত বছর পরেও আজও একই রকম ভাবে ভক্তদের উন্মাদনা দেখা যায়। রথযাত্রার সাক্ষী হতে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে ভিড় জমান। গত দুবছর বন্ধ ছিল এই রথযাত্রা উৎসব। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কার থেকে শুরু করে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে।
মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো কাজে এগিয়েছে। মন্দিরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে নাটমন্দির এবং সহ দেবতাদের মন্দির তৈরি হয়েছে।
ভোগের ঘর জগন্নাথ মন্দিরের কাছে তোরণ তৈরি করা হয়েছে। সরকারি টাকায় জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে। এই সময় দাঁড়িয়ে রথের দিন পুজোর ভোগ নিবেদনের জন্য ভক্তদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়ার তালিকা সামনে এসেছে তাতে হতবাক হয়েছেন ভক্তরা। এবং তা নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা।
সাধারণ ভোগের জন্য একজন ভক্তকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচা করতে হবে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে অনেকের সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলোবে কিনা। জগন্নাথ মন্দিরের দেওয়ালে সারা বছরের পুজোর বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের একটি খরচের তালিকাও টাঙানো হয়েছে। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জগন্নাথ মন্দিরের ট্রাস্টিবোর্ডের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী যদিও এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছেন না। তার দাবি পুরীর মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দিরে এই ধরনের পুজোর খরচ ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের খরচের তালিকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ পরিষেবা ছাড়াই সাফল্যের চুড়ায় অর্পিতা
ভোগ নিবেদনের ক্ষেত্রে যে দর ধার্য করা হয়েছে তা ভক্তদের উপরেই ছাড়া হয়েছে।তারা রাজি থাকলে নিতে পারেন।যা অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেকটাই কম বলেও দাবি পিয়াল অধিকারীর।কেউ পুজো দেওয়ার জন্য অর্থ প্রদান করতে চাইলে অনলাইনে করতে পারেন।তাদের ভোগ কুরিয়ার করে দেওয়া হবে বলে জানান পিয়াল অধিকারী।