বাংলার খবর
দরজা খুলতেই মা-ছেলের ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে চমকে উঠলেন প্রতিবেশীরা!
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ফের রাজ্যে রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া! এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ায় ছেলের মৃতদেহ আগলে দু’দিন ধরে বাড়িতেই বসে রইলেন অশীতিপর বৃদ্ধা মা।
এই ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া থানার জয়গাছির বেলতলা এলাকা। মৃতের প্রতিবেশী মারফৎ খবর পেয়ে হাবড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেন। এছাড়াও ওই বৃদ্ধা মহিলার চিকিৎসার জন্য তাঁকেও হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম সুনীল দত্ত (৭৪)। তাঁর মায়ের নাম কমলা দত্ত (৯০)। বয়সের কারণে এখন আর সেভাবে নিজেকে সামলাতে পারেন না তিনি। যার কারণেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
আরও পড়ুন: মোবাইল চুরি করে চম্পট! নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে বমাল সমেত চোর ধরল পুলিশ
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সুনীল দত্ত গত ২ দিন আগেই বিছানাতেই শয্যাশায়ী অবস্থাতেই হয়ত মারা গিয়েছেন। তারপর গত দু’দিন ধরে এলাকায় পচা দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। যদিও দুর্গন্ধের উৎস কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। এরপর এদিন সুনীল দত্তের বাড়িতে জানলা দিয়ে উঁকি মারতেই দেখতে পান সুনীলের মৃতদেহ আগলে বসে রয়েছেন মা কমলা দত্ত। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারাই হাবড়া থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য।
এই বিষয়ে হাবড়া পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শঙ্কর ঘোষ বলেন, ”নব্বই বছরের বৃদ্ধা এবং তাঁর ছেলে দু’জনেই অসুস্থ ছিলেন। বিছানায় শোওয়া অবস্থাতেই মারা যান সুনীল দত্ত। দু’দিন ধরে দুর্গন্ধ আসছিল। প্রতিবেশীরা জানলা দিয়ে দেখেন, একটি দেহ বিছানায় পড়ে রয়েছে। এরপরই আমাকে প্রতিবেশীরা খবর দেওয়ায় আমি আসি। আমি হাবড়া থানায় খবর দিই। পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে”।
আরও পড়ুন: মোবাইল নিয়ে বচসা, আত্মঘাতী নাবালক
তিনি আরও বলেন, ”তাঁর মাও অসুস্থ। তাঁকে হাবড়া হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। তাঁর হাঁটাচলা করারও ক্ষমতা নেই। বর্তমানে তাঁর এই ছেলেই একমাত্র সম্বল ছিল। আর কেউ নেই৷ তাঁর দুই মেয়ে ছিল, দু’জনই অবিবাহিতই ছিল এবং মারা গিয়েছে আগেই”।