বাংলার খবর
তৃণমূল না নিলে আম আদমি পার্টিতে যোগ দিতে চান লক্ষ্মণ শেঠ
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বাম জমানায় মেদিনীপুরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ছিলেন তমলুকের সাংসদ। কিন্তু একাধিক দুর্নীতিতে নাম জাড়ানোয় বঙ্গ রাজনীতি থেকেকে ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছেন। একদা তাঁর দল সিপিআইএম তাঁকে বহিষ্কার করে। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। তারপর থেকেই রাজনীতির মূল স্রোতে আবারও ফেরার চেষ্টা করছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদনও করেছিলেন। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাঁকে যে নেওয়া হবে না, এমন কথাও ঘোষণা করেনি রাজ্যের শাসক দল। তবে রাজনীতির মূল স্রোতে ফিরতে মরিয়া লক্ষ্মণ শেঠ। তাই তৃণমূল যদি না নেয়, তাহলে আম আদমি পার্টিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও করে ফেলেছেন তমলুকের তিনবারের প্রাক্তন সাংসদ।
২০০৭ সালে হলদিয়া শিল্প এবং নয়াচরে কেমিক্যাল হাব নিয়েই লক্ষণের রাজনৈতিক কেরিয়ারে পতন শুরু হয়। ২০১৪ সালে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করে সিপিআইএম। তারপর ‘ভারত নির্মাণ মঞ্চ’ নামে নিজেই একটি দল তৈরি করেন। কিন্তু নিজের দল বেশিদিন চালাতে পারেনি। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগেই কংগ্রেসে যোগ দেন। এবং তমলুক কেন্দ্র থেকে আবারও কংগ্রেসের হয়ে লোকসভা ভোটে প্রার্থী হন লক্ষ্মণ শেঠ। জেতা তো দূর অস্ত, তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। তারপরই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
সম্প্রতি লক্ষ্মণ শেঠ বলেছেন, ‘আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। তবে এখনও কোনও উত্তর পাইনি। রাজনীতিতে কখনও চিরশত্রু হয় না। যারা এই নীতি নিয়ে চলে তারা আসলে গোঁরা। তারা কোনও পরিবর্তন চান না। তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমি আমার অসমাপ্ত কাজগুলো করতে চাই। একমাত্র তৃণমূলই পারে রাজ্যের উন্নতি ঘটাতে। হলদিয়া এবং গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে নিয়ে আমি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু রাজনৈতিক কারণেই সেই ইচ্ছাগুলো বাস্তবায়িত করতে পারিনি। সেই কাজ গুলো আমি করতে চাই। আগামী পঞ্চায়েত, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল যদি আমাকে না নেয়, তাহলে আমি আম আদমি পার্টিতে যোগ দেবো।’
লক্ষ্মণ শেঠ আরও বলেছেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই রাজনীতি করছি। এই রাজনীতির জন্য আমি কোনদিন চাকরি করিনি। কারণ আমি মনে করি রাজনীতির মধ্যে দিয়েই মানুষের উন্নয়ন এবং সেবা করা যায়। তাই জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে মানুষের সেবা করতে চাই।’