বাংলার খবর
দু’মাস ধরে রেশন মিলছে না, ডিলারকে ওয়াটার এটিএম-এ আটকে রাখল গ্রাহকরা
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দু’মাস ধরে মিলছে না রেশন। তাই রেশন ডিলারকে ওয়াটার এটিএম এর মধ্যে আটকে রাখলো উত্তেজিত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার অন্তর্গত চুনাখালি মিল্কিপাড়ায়। খবর পেয়েই বহরমপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিডিও অভিনন্দন ঘোষ। তারপর উত্তেজিত জনতার হাত থেকে আটক ওই রেশন ডিলারকে উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘক্ষন ওয়াটার এটিএম-এর মধ্যে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিযুক্তই রেশন ডিলার। প্রাথমিক শুশ্রূষার পর তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরেই প্রাপ্যর তুলনায় কম রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করেন উপভোক্তারা। তাদের আরও অভিযোগ, গত দু’মাস ধরে রেশনও দেওয়া হচ্ছিল না। পরে দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, দেননি রেশন ডিলার। তার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বাসিন্দারা। তখনই ওই রেশন দোকানের ডিলারকে ওয়াটার এটিএম-এ আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বহরমপুর থানার পুলিশ এবং বিডিও। তাঁরাই উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রেশন ডিলারকে উদ্ধার করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, ‘গত দুমাস ধরে আমাদের কোনও রেশন দেওয়া হচ্ছে না। এই মাসে দেবে বলে স্লিপ দিয়েছিল। তাই গত চার পাঁচ দিন ধরে আমরা দোকানে আসছি। কিন্তু আজ নয় কাল বলে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। দোকানের সমস্ত জিনিস রয়েছে, তাও দিচ্ছে না। প্রতিদিন কাজ কামাই করে রেশন দোকানে এসে লাইন দিচ্ছি। আমরা গরীব মানুষ। এইরকম করলে আমাদের চলবে কী করে!’ অভিযুক্ত রেশন ডিলার দাবি করেছেন, ‘আমাকে ষোলটা গ্রামের রেশন দিতে হয়। তাই একটু দেরী হবেই। এই ঝঞ্ঝাট আমি আর নিতে পারছি না। আমি আর রেশন ডিলারশিপ রাখতে চাইনা।’
বিডিও অভিনন্দন ঘোষ বলেছেন, ‘দুমাস ধরে রেশন বাকি থাকার কথা নয়। আমরা ওই রেশন ডিলারকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। যেখানে রাজ্যে দুয়ারে রেশন কর্মসূচি চলছে, সেখানে রেশন বাকি থাকার কথা নয়। আমি এবং খাদ্য আধিকারিক- দুজনেই অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিচ্ছি। যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং ওই অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করব। ওই রেশন ডিলার আমাদের যা বলেছেন, তা থেকে বোঝা যায় ওঁনারই গলদ রয়েছে। গোটা বিষয়টা নিয়ে আমরা ভীরভাবে তদন্ত করব। উনি বাইরে কোথাও রেশন বিক্রি করে দেওয়ার কথা স্বীকার করেননি। যেখান থেকে ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী আসে সেখানে গিয়েও আমরা তদন্ত করব।’