বাংলার খবর
হাওড়ায় আবারও দফায় দফায় বিক্ষোভ, অবরোধের জেরে বাতিল একাধিক ট্রেন

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে শুক্রবার আবারও উত্তাল হয়ে উঠল হাওড়া। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার বিকাল থেকেই দফায় দফায় বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি মোড় থেকে ধূলাগড় মোড়।
যানজটের প্রভাব পরল কোনা এক্সপ্রেসওয়েতেও। রাস্তার পর চেঙ্গাইলে রেললাইনেও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতির সামাল দিতে নামানো হয়েছে রেপিড অ্যাকশন ফোর্সকে। পুলিশ অবরোধ হটাতে গেলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই অবরোধের জেরে সড়কের পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রেল পরিষেবাও। বিকেল থেকেই বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় রেল পরিষেবা। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন যাত্রীরা।
শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ধূলাগড় মোড়ে। ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। জাতীয় সড়কের উপর লম্বা গাড়ির লাইন লেগে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় RAF। কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। রাত আটটা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এখনও অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে জাতীয় সড়ক। সার বেঁধে দাঁড়িয়ে পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ও সাধারণ গাড়ি। এদিন ডোমজুড় থানায় গিয়েও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। হয় ইট বৃষ্টি। উলুবেড়িয়া, পাঁচলাতেও দফায়-দফায় অবরোধ ও বিক্ষোভ হয়। উলুবেড়িয়ার মনসাতলায় বিজেপির গ্রামীণ কার্যালয়ে এবং পাঁচলায় তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। উলুবেড়িয়ার নরেন্দ্রপুর মোড়ে পুলিশ কিওস্ক এবং বাইকেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
যদিও রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রেললাইন থেকে অবরোধ উঠে গেলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে এই অবরোধের জেরে শুক্র ও শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন এক্সপ্রেস, হাওড়া-আদ্রা শিরোমণি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরুলিয়া সুপারফার্স্ট এক্সপ্রেস, হাওড়া-টাটানগর স্টীল এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী এক্সপ্রেস।