বাংলার খবর
হাওড়ায় পথ অবরোধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা, সোমবার পর্যন্ত বন্ধ ইন্টারনেট
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের আঁচ এসে পড়েছে বাংলাতেও। বৃহস্পতিবার ১১ ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ করার পর শুক্রবারও আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠল হাওড়া। শুক্রবার বিকাল থেকেই বিক্ষোভের পাশাপাশি শুরু হয় পথ অবরোধ এবং রেল অবরোধ। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূল, বিজেপির পার্টি অফিস, পুলিশের কিওস্ক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গাড়িতেও। আন্দোলনকারীদের হঠাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কিছু পুলিশকর্মী।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ডোমজুড়ে কেন ১১ ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ চলল, তাই নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটি দায়ের করেছেন দেবদত্ত মাঝি। গোটা ঘটনায় তিনি এনআইএ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি মোড়ে অবরোধ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। দুপুরে নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তারপরও রাত অবধি চলে অবরোধ। শেষে রাত ন’টা নাগাদ ওঠে অবরোধ। শুক্রবার সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও বেলা বাড়তেই আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া। অঙ্কুরহাটি, ধূলাগড় বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় পথ অবরোধ। অবরোধের জেরে রাস্তায় সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি। চেঙ্গাইলে রেললাইনে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করা হয় ট্রেন। যার ফলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন রেল যাত্রীরাও। বাতিল করে দেওয়া হয় হাওড়া-খড়্গগপুর শাখায় একাধিক দূরপাল্লার ও লোকাল ট্রেন। সার্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যেই গোটা হাওড়ায় শুক্রবার থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। আগামী সোমবার সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা।
অপরদিকে, হাওড়ায় দু’দিন ধরে এই অশান্তির জেরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার রাত দশটার মধ্যে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে রাজভবনে তলব করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আশাকরি আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’