বাংলার খবর
বেচা কি ভেবেছিল ঢোল বাজিয়ে মন্ত্রী হবে! কেন বললেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: সামনেই একুশে জুলাই। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজ্যের সর্বত্র একুশে জুলাইয়ে প্রস্তুতি এবং কর্মীসভার শুরু হয়েছে তৃণমূলের। শনিবার হুগলির চুঁচুড়ার রবীন্দ্রভবনে দলীয় কর্মীসভায় হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দু’জনেই দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে শনিবার একাধিক বার্তা দিলেন।
দল সরকারে আছে। অনেক আন্দোলন, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বর্তমান সময়ে তাতে কিছু বিচ্যুতি দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন, ‘দলে এসেই অনেকে বলে পঞ্চায়েত ভোটে কবে দাঁড়াবো, জন প্রতিনিধি কবে হব! অর্থাৎ আমি জনপ্রতিনিধি হওয়ার লক্ষ্যেই দল করছি। নিজের জন্য দল করছি। মানুষের জন্য দল করছি না। এই পরিবর্তন কিন্তু কাক্ষিত পরিবর্তন নয়।’
এখানেই থেমে না থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘হুগলির মানুষ দেখেছে, মশার কামড় খেয়েও কী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে ছিলেন। সেদিন অনেকে ছিল। অনেকে আবার চলেও গিয়েছে। অনেকে সাদা জামা ছেড়ে গেরুয়া জামা পরেছে। তারা মানুষের জন্য একটা কাজ করেছে দেখাতে পারবেন না। যা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন বলে করেছেন। যা কিছু রাজনৈতিক ইতিহাস তৈরি হয়েছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই। সরকার ১১ বছরের কাজের মধ্যে দিয়ে যে উন্নয়ন করেছে। বেচা (বেচারাম মান্না) কোনওদিন ভেবেছিল ঢোল বাজিয়ে মন্ত্রী হবে। আমি কোনওদিন ভেবেছিলাম আমি মন্ত্রী হব! তবু আমি বিরোধী দলনেতা ছিলাম। ক্যাবিনেট পর্যায়ে মন্ত্রীর মর্যাদা ছিল। কিন্তু কে মানত।’
কর্মীসভায় এসে মেয়র ফিরাহাদ হাকিম কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের কার্নিশ থেকে পড়ে রুগীর মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন মানসিক রোগী জানলা দিয়ে লাফিয়ে পড়েছে। এটা একটা দুর্ঘটনা। এটার সঙ্গে নিরাপত্তার কোনও বিষয় নেই। আর যেটা হয়েছে, সেটা বেসরকারি হাসপাতালে। কোনও সরকারি হাসপাতালে নয়।যদি জঙ্গীরা গুলি চালায় তখন নিরাপত্তার প্রশ্ন আসে।’