বাংলার খবর
ডুয়ার্সে হরপা বানে ভেসে গেলেন ২ পর্যটক
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: ডুয়ার্সে বেড়াতে এসে উত্তাল পাহাড়ি নদীর হরপা বানের তোরে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হল মা ও মেয়ের।
রবিবার বিকেলে এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ডুয়ার্সের নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চাবাগান সংলগ্ন গাঠিয়া নদীতে। মৃত মায়ের নাম ক্যামেলিয়া বিশ্বাস (৪০) ও মেয়ে রাজ্যাইয়া বিশ্বাস (১৩)। জানা গিয়েছে, তাদের বাড়ি শিলিগুড়িতে। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ডুয়ার্সের নদী ও ঝোড়াগুলির উৎসস্থল উত্তরের কালিম্পং জেলা ও ভুটানের পাহাড়ি এলাকা। সাধারণত এই সময় পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বর্ষণ হয়। বৃষ্টির প্রবল জলধারা উত্তাল গতিতে নদী দিয়ে নীচের দিকে নেমে আসতে শুরু করে। অনেক সময় দেখা যায় পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে অথচ সমতল এলাকায় সূর্যের প্রখর তাপ আর তখন আচমকাই হরপা বান দেখা দেয়। আর সেই হরপায় ঘটে বিপত্তি।
আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে পারদ, বাংলায় কবে বৃষ্টি?
এদিকে গাঠিয়া নদীর পাশেই রয়েছে গাঠিয়া চাবাগান। সেই চা বাগানের সহকারী ম্যানেজার রুপক বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যরা সহ বেশ কয়েকজন কলকাতা থেকে ডুয়ার্সে বেরাতে এসেছিলেন। ডুয়ার্সে ঘুরতে এসে অনেকেই আনন্দে পাহাড়ি নদীতে নেমে পড়েন।
জানা গিয়েছে, সুন্দর কলোতানে ভরা পাহাড়ি নদী দেখেই এদিন ৮ জন গাঠিয়া নদীতে স্নান করতে নামে। আর সেসময় নদীর আশেপাশে বেশ কয়েকজন স্থানীয় মানুষও ছিলেন।যখন তারা নদীতে নামে তখন নদীর জলস্রোত ছিলো স্বাভাবিক। আচমকাই নদীর জল বেড়ে যায়। দেখা দেয় হরপা বান। বাইরে থেকে আগতরা হরপা বুঝতে পারেননি। যারফলে প্রবল জলের স্রোতে ভেসে যান ৮ জন। স্থানীয়রা চেষ্টা করে ৬ জনকে উদ্ধার করলেও মা ও মেয়ে ভেসে যায় ভাটির টানে নিচের দিকে। এরপর বিকেলে অনেক নিচে ছাড়টন্ডু সংলগ্ন এলাকা থেকে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন: জিটিএ নির্বাচনে ১০ আসনে লড়বে তৃণমূল, প্রার্থী ঘোষণা অরূপের
এবিষয়ে নাগরাকাটা থানার আইসি কৌশিক কর্মকার বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। গাঠিয়া নদীতে ৮ জন স্নান করতে নামে। ৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন মহিলা ও তার মেয়ে ভেসে যায়। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আগামীকাল ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।”