বাংলার খবর
গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবার থেকে আটক পরিচারিকা ও তাঁর ছেলে
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডে জোড়া খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনকে আটক করল কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। আজ ডায়মন্ডহারবারের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিঠু হালদার নামে এক মহিলা ও তাঁর ছেলেকে আটক করা হয়। পেশায় পরিচারিকা মিঠু খুন হওয়া বাড়ির মালিক সুবীর চাকীর বাড়িতে কাজ করতেন। সুবীর যখন কর্মসূত্রে কলকাতার বাইরে থাকে তখন তার মায়ের দেখাশোনার কাজ করতেন মিঠু।
শুধু তাই নয় গোয়েন্দাদের অনুমান, মিঠুর ছেলেও কাঁকুলিয়া রোডের ওই বাড়ি বিক্রির সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। তিনিও সুবীর বাবুর কাছে ক্রেতা নিয়ে আসতেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই মিঠু ও তাঁর ছেলের পাশাপাশি ছেলের তিন বন্ধুকেও সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। সুবীর চাকী ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মন্ডলের খুনের ঘটনার সঙ্গে এঁদের যোগ থাকতে পারে বলেই মনে করছে তদন্তকারী দল। বাড়ি বিক্রি সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে মিঠুর ছেলের সঙ্গে সুবীর বাবুর কোনও বিবাদ হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মিঠুর অপরাধের পুরনো রেকর্ডও আছে।
গতকাল তদন্তের সময় দেখা গিয়েছিল ওই বাড়ি থেকে বালিগঞ্জ রেল স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশের কুকুর। তদন্তকারী দলের ধারনা, খুন করে বালিগঞ্জ থেকে ট্রেন ধরেই চম্পট দিয়েছে আততায়ীরা। সেই সূত্র ধরেই তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। ঘটনাচক্রে আটক মিঠু ও তাঁর পুত্র দু’জনেই ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা। আর ডায়মন্ড হারবারে যেতে হলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার অন্তর্গত বালিগঞ্জ স্টেশন থেকেই ট্রেনে উঠতে হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আটক দু’জনকে লালবাজারে নিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। অপরদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এলাকার বাড়ির দালালদেরও একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। বুধবার মৃত রবীন মণ্ডলের মোমিনপুরের বাড়িতেও যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারা। বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।