বাংলার খবর
আচমকাই মোহনবাগানের সচিব পদ থেকে পদত্যাগ সৃঞ্জয় বসুর

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: দু’দিন আগেই শতবর্ষের ডার্বি জিতে উৎসবের মেজাজে রয়েছে সবুজ মেরুন সমর্থকরা। তারই মধ্যে সবাইকে অবাক করে দিয়ে মোহনবাগান ক্লাবের সচিব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সৃঞ্জয় বসু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৃঞ্জয় বসু ইস্তফা দিয়ে সভাপতি টুটু বসুর কাছে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছেন।
সবুজ-মেরুন প্রশাসনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করলেন সৃঞ্জয় বসু। পদত্যাগপত্রে সৃঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। তবে সচিব পদ থেকে ইস্তফা দিলেও ক্লাবের একনিষ্ঠ সমর্থক এবং সাধারণ সদস্য হয়েই থাকতে চান বলে জানিয়েছেন তিনি। সরে দাঁড়ালেও তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে কিনা, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার ক্লাবের কার্যকরী সমিতির সভায় আলোচনা হবে। সৃঞ্জয় বসু তাঁর পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে আমি মোহনবাগান ক্লাবের সচিব পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি। আমি চিরদিন এই ক্লাবের উৎসাহী সমর্থক এবং সদস্য হিসাবে থেকে যাব।
যাঁরা আমার প্রতি আস্থা দেখিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ক্লাব বরাবরের মতো সঠিক পথেই এগিয়ে যাবে। আমার বাবা সত্যসাধন বসু, সদস্য, কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে সব রকমের সহযোগিতা পেয়েছি। ক্লাবের পাশে থাকার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ। উনি সব সময় ক্লাবের পাশে থেকেছেন, সাহস দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই ক্লাবের অগণিত সদস্য এবং সমর্থকদের, যাঁরা এতদিন আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’ হঠাৎ কেন সচিব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সৃঞ্জয় বসু? ময়দানে এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান আলোচনা। সামনেই ক্লাবের নির্বাচন রয়েছে। তার আগে হঠাৎ তাঁর সচিব পদ থেকে সরে দাঁড়ানোকে অনেকেই নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজি বলে মনে করছেন।
আবার অনেকের মতে এটিকে-এর থেকে মোহনবাগানকে আলাদা করার সদস্য-সমর্থকদের আন্দোলনের চাপেই নিজেকে সরিয়ে নিলেন সৃঞ্জয় বসু। নাকি অন্য কোনও ক্লাব রাজনীতি? এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, মোহনবাগানের সদস্য-সমর্থকদের একটা অংশ ‘রিমুভ এটিকে’ আন্দোলনের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। দু’বছর আগে সচিব পদে বসেছিলেন সৃঞ্জয় বসু । বর্তমান সভাপতি টুটু বসু নির্বাচনে জিতে সচিব হয়েছিলেন। সেই সময় সভাপতি ছিলেন গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণের পর টুটু বসুকে সভাপতি করে সচিব করা হয় তৎকালীন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বসুকে। তাঁর আমলেই এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে আইএসএলে খেলার সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগান। যা নিয়েই বিতর্ক।