বাংলার খবর
শুরু রায়গঞ্জ-গোপীবল্লভপুরের রথযাত্রার প্রস্তুতি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: কোভিড পরিস্থিতি কাটিয়ে মহাসমারোহে আগামী পয়লা জুলাই হিন্দুদের পরম পবিত্র উৎসব রথযাত্রা উৎসব পালিত হতে চলেছে। এই রথযাত্রা উপলক্ষে চুড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রায়গঞ্জের বন্দর এলাকার গোবিন্দ মন্দিরে। উদ্যোক্তাদের আশা এবছর রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটবে রায়গঞ্জ শহরে।
বিগত দুবছর করোনা অতিমারির কারণে উৎসব থেকে দূরে ছিল আপামর বাঙালি। তবে চলতি বছর উৎসবে মেতে উঠেছে আট থেকে আশি সকলেই। গত দুবছর করোনার কারনে প্রশাসনের অনুমতি ছিলনা রথযাত্রা উৎসবের। ফলে রায়গঞ্জ শহরের রাস্তায় নামেনি জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রার সুসজ্জিত রথ। রথের দড়িতে টান দিয়ে পূন্যার্জন করতে পারেনি পূন্যার্থীরা। এবার রথ নামবে পথে। আর তারই চুড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন রথযাত্রা কমিটির সদ্যস্যদের মধ্যে। চলছে ভগবান জগন্নাথ বলরাম ও দেবী সুভদ্রার রথের পথে নামানোর শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি।
করোনা মহামারীর প্রশাসনিক বিধিনিষেধের জন্য গত দু’বছর নিয়ম রক্ষায় রথযাত্রা উৎসব পালনের পর এবছর ফের পূর্ণ উদ্যমে হতে চলেছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের চারশো বছরের প্রাচীন রথযাত্রা উৎসব। বলা হয় মাহেসের পর সর্ববৃহৎ রথযাত্রা হল গোপীবল্লভপুরের। আর এই উৎসবকে ঘিরে ইতিমধ্যে চলছে চরম প্রস্তুতির কাজ। কারিগর দিয়ে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জগন্নাথ দেবের রথকে। রথযাত্রা উৎসবের আয়োজনে যেমন উৎসব কমিটি সদস্যরা ব্যস্ত তেমন দু’বছর বাদে ফের মাসির বাড়িতে পৌঁছাচ্ছে রথ এই খবরে খুশি এলাকার সাধারণ মানুষ।
করোনা বিধিনিষেধের জন্য তিন কিলোমিটার দূরে কাপাশিয়া গ্রামে মাসির বাড়িতে জগন্নাথদেবের রথ গত দু’বছর না গিয়ে সীমাবদ্ধ থাকে গোপীবল্লভপুর গুপ্ত বৃন্দাবনের মধ্যে। গত দু’বছর অস্থায়ী মাসির বাড়ি তৈরি করে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে রথের দড়ি টানা সীমাবদ্ধ করা হয়। কিন্তু এবছর স্বাভাবিক হয়েছে মহামারী। তাই পূর্ণ উদ্যমে প্রস্তুতি সারছে উৎসব কমিটি। উৎসবের খবর পেয়ে খুশিও সাধারণ ভক্তরা।