বাংলার খবর
কাজ করার ক্ষমতা নেই, আধপেটা খেয়ে দিন গুজরান করা সুনীলের সরকারি সাহায্যের আর্জি
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: জীবন সংগ্রামের কঠিন লড়াইয়ে সামিল সুনীল। অসুস্থতার জেরে হ্রাস পেয়েছে শারীরিক কর্মক্ষমতা। ফলে ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনওমতে দিন গুজরান হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলামীগছ গ্রামের বাসিন্দা সুনীল হাঁসদা।
মেলে না অন্য কোনও সুযোগ সুবিধা কিংবা সরকারি ভাতা। এই কারণে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার জন্য সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আর্জি জানিয়েছে সুনীল হাঁসদা। জীবন সংগ্রামের এমন করুণ চিত্র দেখা গেল উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলামীগছ গ্রামে।
এই গ্রামেরই বাসিন্দা সুনীল হাঁসদা দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিল। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে অন্যত্র বাস করে। দীর্ঘদিন পক্ষাঘাতের দরুণ কমে গিয়েছে স্বাভাবিক শারীরিক সক্ষমতা।
আরও পড়ুন: আর্থিক সমস্যাকে দূরে রেখে প্রথম মহিলা সাইক্লিস্টের খেতাব জয় সবিতার
কায়িক পরিশ্রম করার সামর্থ্য অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে আগের তুলনায়। ভাইয়ের সঙ্গে প্রথমে থাকলেও ভাই মারা যাওয়ার পর একাই থাকে সুনীল। জমিজমাও যেটুকু ছিল তা চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। যারফলে এখন পেট চালাতে ভিক্ষাবৃত্তিই একমাত্র ভরসা। এই দিয়েই হয় ক্ষুন্নিবৃত্তি।
আরও পড়ুন: মেয়র-মন্ত্রীর সই জাল করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা! গ্রেফতার দুই
জানা গিয়েছে, অধিকাংশ দিনই আধপেটা খেয়েই দিন গুজরান হয়। মাসে একবার রেশন থেকে দু-চারকেজি চাল মিললেও, প্রয়োজনের তুলনায় তা নেহাতই সামান্য। মেলে না অন্য কোনও সুযোগ সুবিধা কিংবা সরকারি ভাতা। বিভিন্ন সময়ে দরবার করেও কোন লাভ হয়নি। যারফলে এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকাটাই এখন বৃহত্তর সংগ্রাম সুনীলের কাছে। যে কারণে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।