রান্নাবাটি
সহজ উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন, কোরিয়ান কিমচি
বাইরে এবং রেস্টুরেন্টের খাওয়ার এর প্রতি আমাদের আকর্ষণ একটু বেশি থাকে

বেঙ্গল এক্সপ্রেস: আমরা যতই ভালো ও সুস্বাদু ঘরোয়া খাওয়ার খেয়ে থাকি না কেন, বাইরে এবং রেস্টুরেন্টের খাওয়ার এর প্রতি আমাদের একটা আলাদা লেভেলেরি আকর্ষণ থাকে। আমরা সব সময় বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করি। যদিও আমাদের শরীরের জন্য অতটাও ঠিক না। তবুও খাওয়ার তো খাওয়ারই হয়।
তেমনি আমরা আজকে নিয়ে এসেছি কোরিয়ান এর কিমচি রেসিপি। যারা কোরিয়ান এ গিয়েছেন কিংবা কোরিয়ান সিরিজ দেখে থাকেন তারা এই কিমচি খাওয়ার কে খুব সহজেই চিনে থাকবেন। আসলে কিমচি হলো এক ধরনের আচার। আর এই আচার দিয়ে কোরিয়ানের লোকেরা সবকিছুর সাথে মিশিয়ে খায়। আজ আমরা সেইটা বানানোর শিখবো।
আরও পড়ুন-ব্রেড পিজ্জা পকেট বানানোর সহজ পদ্ধতি জানতে পড়ুন বিস্তারিত।
উপকরণ:
১টি বাঁধাকপি( আপনার কাছে যদি কোরিয়ান ক্যাবেজ কিনবার নাপা ক্যবেজ থাকে তাহলে আপনি সেটাও নিতে পারেন)।
১-১/২ চামচ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো।( কাশ্মীরে শুকনো লঙ্কা এবং সাধারণ শুকনো লঙ্কা মিক্স করে)।
১ চা চামচ রেড চিলি ফ্লেক্স।
২-৩ চা চামচ চালের গুড়ো।
৩ চা চামচ পেঁয়াজ পেস্ট।
১-১/২ চা চামচ আদা পেস্ট।
৩ চা চামচ রসুন পেস্ট।
নুন।
১ চা চামচ সয়া সস।
১ চা চামচ ভিনিগার।
২ চা চামচ তিলের তেল।
১ কাপ মুলো ঝুড়িঝুড়ি করে কাটা।
১ কাপ গাজর ঝুরঝুরি করে কাটা।
প্রণালী: প্রথমে একটি বড় সাইজের বাঁধাকপি কে চার ভাগে ভাগ করে কেটে নিতে হবে। বাঁধাকপির মাঝখানের শক্ত অংশ টুকু ফেলে যেতে হবে। কারণ এই কিমচী তে ওই শক্ত অংশের কোন প্রয়োজন নেই। ভালো করে কেটে নেওয়ার পর খেয়াল রাখতে হবে বেশি ঝুরিঝুরি যেতে না হয়ে যায়। মিডিয়াম সাইজের রাখতে হবে। কাটা হয়ে গেলে একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে অনেকগুলো লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে এক থেকে দেড় ঘন্টার জন্য ঢেকে রেখে দিতে হবে। অন্যদিকে আমরা তৈরি করে নিব কিমচীর অন্যান্য জরুরি জিনিসগুলো।
প্রথমে আমরা একটি ফ্রাই প্যানে এক কাপ জলে দুই চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে মিডিয়াম ফ্লেমে ভালো করে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে। তারপর জল শুকিয়ে চালের গুঁড়ো গুলো যখন একটু ঘন হয়ে আসবে এখন এক চামচ চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর কন্টিনিউয়াসলি নেড়ে যেতে হবে যাতে ফ্রাই প্যানের তলায় লেগে না যায়। চিনি দেওয়ার পর দু মিনিট নাড়াচাড়া করার পর চিনি ভালো করে মিশে গেলেন গ্যাস টাকে নিভিয়ে দিয়ে চালের পেস্টটাকে বেশ কিছুক্ষন ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিতে হবে।
অপরদিকে আমরা একটি পাত্রে পেয়াজ বাটা, রসুন বাটা, চিলি ফ্লেক্স, কাশ্মীরি ও সাধারণ শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো এবং তিলের তেল ( আপনার কাছে যদি তিলের তেল না থাকে তাহলে আপনি বাড়িতে ইউজ করা সরষের তেলও দিতে পারেন) দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা হওয়া চালের পেস্ট এবং লঙ্কার পেস্ট দিয়ে একসাথে আবারও মিক্স করে নিতে হবে। অপরদিকে বাঁধাকপি লবণের জন্য মোজে আসবে এবং অনেকগুলো জল ছাড়বে সেই জল ফেলে দিয়ে পাঁচ থেকে ছয় বার ফ্রেশ জলে ধুয়ে নিতে হবে বাঁধাকপি গুলোকে।
ধুয়ে নেওয়ার পরে বাঁধাকপি গুলোকে একটি একটি করে ছাড়িয়ে নিতে হবে। তারপর সেই বাঁধাকপির পাত্রে লঙ্কার পেস্ট এবং মুলো কুচি গাজর কুচি এবং আপনি চাইলে কাঁচা লঙ্কা দিতে পারেন তবে গোটা গোটা। তারপর সবগুলো কে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে ব্যাস তৈরি হয়ে গেল কিমচী। তবে এখনই সেটা খাওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠেনি। তৈরি হয়ে যাওয়ার পর সে কিমচিকে ভালো করে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে 24 ঘন্টার জন্য রেখে দিতে হবে। ২৪ ঘন্টা হয়ে গেলে তারপরে আপনি খেতে পারবেন কিমচী কিংবা বাঁধাকপির আচার।