গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়িতে 'ট্রান্স মহিলা' বিজয় রাজকে সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন আলিয়া
Connect with us

বিনোদন

গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়িতে ‘ট্রান্স মহিলা’ বিজয় রাজকে সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন আলিয়া

Published

on

Rate this post

বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ : বলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যায় নানান রকম সমলোচনা। সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবি ‘গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়িতে’ এক ট্রান্স চরিত্রে অভিনয় করা বিজয় রাজকে ঘিরে চলা সমালোচনা নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী আলিয়া ভাট। এই মাসের শুরুতেই গাঙ্গুবাই কাথিয়াওয়াড়ির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরে, বিজয় রাজকে ছবিতে একজন ট্রান্স মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখে অনেকেই অসন্তুষ্ট হয়েছিল।

যদিও বিজয় বাস্তব জীবনে একজন সিস-জেন্ডার পুরুষ। ছবিতে গাঙ্গুবাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজিয়া বাইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাস্টিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সমালোচকদের প্রশ্ন, কেন একজন ট্রান্স মহিলাকে এই চরিত্রের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। বলিউডে ইতিমধ্যেই ট্রান্সপারসন এবং সমকামী অভিনেতাদের জন্য সুযোগ এবং ভূমিকার অভাব রয়েছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাতকারে ছবিটির প্রধান অভিনেতা আলিয়া ভাটকে একই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল।

তার উত্তরে আলিয়ার যুক্তি, কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবেন, তা কেবল পরিচালকের সিদ্ধান্ত। আলিয়া বলেছেন, ‘আমি এর আগে অনেক সিনেমায় অভিনয় করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে এই ধরণের কথা শুনেছি। যদিও আমি বুঝতে পারি যে তারা কোথা থেকে আসছে। আমি মনে করি এটি সম্পূর্ণ পরিচালক এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করে। কাউকে বিরক্ত বা ছোট করার জন্য নয় বিজয় রাজের মতো একজন অভিনেতা, যিনি পুরুষ হিসাবে পরিচয় দেন, তাঁর একটি ট্রান্স চরিত্রে অভিনয় করাকে আকর্ষণীয় মনে করেছিলেন পরিচালক। দর্শকরা তাঁকে সেভাবে দেখেননি। আপনি অভিনেতা এবং সেই ব্যক্তির মধ্যে নিজেকে রূপান্তর করার ক্ষমতা আছে। আমি মনে করি এটি একটি ভালো দৃষ্টিকোণ। কিন্তু আমি বুঝতে পারি, লোকেরা কোথা থেকে আসছে।’ গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি সিনেমাটি একটি পতিতালয়ের এক ম্যাডামকে ঘিরেই।

Advertisement

যিনি মুম্বইয়ের কামাথিপুরা এলাকায় মহান ক্ষমতায় উঠে এসেছেন। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি নার্ভাস ছিলেন কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে আলিয়া বলেছেন, ‘হ্যাঁ। তবে এমন নয় যে যৌনকর্মীরা অতীতে আমাদের সিনেমায় ছিল না। এটা সবথেকে বড় বাণিজ্যিক বিষয় নয়। তবে এই বিষয় নিয়ে অতীতেও সিনেমা হয়েছে। আমি মনে করি, আপনি যদি দর্শকদের সত্যিই একটি ভালো চরিত্র দেন, তাহলে তাঁরা কোথা থেকে এসেছেন বা কারা এসেছেন, তা গৌণ হয়ে যায়। আমি মোটেও অনিচ্ছুক ছিলাম না। এই ছবির মধ্যে অনেক শক্তিশালী একটা সামাজিক বার্তা রয়েছে। এটি একটি আন্ডারডগ গল্প, সংগ্রামের গল্প। আপনি যেখান থেকেই আসুন না কেন, আমি মনে করি সবাই সংগ্রাম থেকে জেগে ওঠার গল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।’

Continue Reading
Advertisement
Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.