বাংলার খবর
সময় হলেই সব ষড়যন্ত্রকারীর নাম প্রকাশ্যে আনব, হুঁশিয়ারি বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আনারুলের
বেঙ্গল এক্সপ্রেস নিউজ: বগটুই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ঘটনার অন্যতম মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেনকে। এই ঘটনায় আবারও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুললেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি দাবি করেছেন ষড়যন্ত্র করেই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
তবে শুধু এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সময় হলে ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট সংশোধনাগার থেকে সিউড়ি সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে উঠতে গিয়ে এই কথা জানিয়েছেন আনারুল হোসেন। বগটুই কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের পরই ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন বীরভূম জেলা সাংগঠনিক বিজেপি নেতা ধ্রুব সাহা।
বৃহস্পতিবার বগটুই হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে আনারুল হোসেনকেও পুলিশের গাড়িতে করেই রামপুরহাট সংশোধনাগার থেকে সিউড়ি সংশোধনাগনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। রামপুরহাট সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে বসেই আনারুল চিৎকার করে বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি পাঁচ-সাত কিলোমিটার দূরে। আমাকে ষড়যন্ত্র করেই ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। সময় হলেই ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ করব।’ তবে এর আগেও তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন আনারুল। তবে আনারুলের এদিনের এই বক্তব্য নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তৃণমূলের।
আনারুলের এই হুঁশিয়ারির পরই আসরে নেমে পড়েছে বিজেপিও। বিজেপির বীরভূম জেলা সাংগঠনিক সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেছেন, ‘আনারুল হোসেন শুধু ষড়যন্ত্রের কথা বলছেন। যদি সত্যিই ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে তাহলে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুক। উনি যদি নির্দোষ হন তাহলে সিবিআই উনাকে অযথা হেনস্থা করবে না।’
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই বদলা নিতে বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের। পরে হাসপাতালে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৪ মার্চ তৃণমূলের রামপুরহাট-১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার সিবিআই এর হাতে তুলে দেয়। মামলা দায়ের হওয়ার ৯০ দিনের মাথায় এই মাসের ২০ তারিখে জোড়া চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটেই আনারুল হোসেনকে অন্যতম অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।